মুম্বই, 24 ফেব্রুয়ারি: আধুনিক সময়ে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে এআই (AI) তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ৷ প্রযুক্তির এই গতি থামার নয় ৷ ফলে সেটিকে খারাপ উদ্দেশ্যে নয় বরং ভালো কিছুর জন্য ব্যবহার করা উচিত ৷ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এমনটাই মনে করছেন অভিনেতা আমির খান ৷
তিনি বলেন, "প্রতিনিয়ত আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার নিত্যনতুন প্রয়োগ দেখতে পাচ্ছি ৷ এআই প্রযুক্তি ঝড়ের গতিতে বিশ্ব ছড়িয়ে পড়েছে ৷ আমরা জানি এর পরিণতি ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে ৷ প্রযুক্তিগতভাবে আমি সবসময় পিছিয়ে ৷ আমার জীবনে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকে ৷ টেকনোলজির প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসা যায় না ৷ ইন্ডাস্ট্রিতে হোক বা যে কোনও প্রফেশনে, টেকনোলজিকে কোনওভাবে দমন করা যায় না ৷ এটাকে বন্ধ করার প্রয়োজন নেই ৷ তার বদলে টেকনোলজিকে সঙ্গে নিয়ে সমস্যার সমাধান কীভাবে করা উচিত, তা শেখা দরকার ৷"
মুম্বইয়ে এক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আমির খান ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও ৷ দুজনেই ব্যস্ত রয়েছেন 'লাপাতা লেডিস' ছবির প্রচারে ৷ সেখানে কিরণও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর ব্যবহার নিয়ে মুখ খুলেছেন ৷ তিনিও জানিয়েছেন, টেকনোলজির ব্যবহার ভালো উদ্দেশে করা উচিৎ ৷ তিনি বলেন, "আমি জানি না আসলে এআই পদ্ধতিতে কী কী কাজ করা সম্ভব ৷ চ্যাটজিপিটি স্কুল পড়ুয়াদের সাহায্য করতে পারে ৷ আমরা জানি এই চ্যাটজিপিটি লিখতে, কোনও কিছু এডিট করতে সাহায্য করে ৷ তবে এখানে বিতর্ক রয়েছে এই পদ্ধতির মাধ্যমে লেখা উচিত কী উচিত নয় ৷ তবে আমার মনে হয় এআইকে বন্ধ করা অসম্ভব ৷ আমরা সকলেই কম-বেশি টেকনোলজি ব্যবহার করি নিজেদের কাজের সুবিধার জন্য ৷ তবে অনেকে সেটা কীভাবে ব্যবহার করছেন সেটা দেখা দরকার ৷"
উল্লেখ্য, 'লাপাতা লেডিস'-এর ট্রেলার নজর কেড়েছে সকলের ৷ একটি ট্রেন জার্নিতে দুই নববধূ বদলে যায়, এর নেপথ্য কারণ কী; তাই তুলে ধরা হয়েছে ছবির প্রেক্ষাপট হিসাবে ৷ তবে সেখানে সামাজিক বার্তাও রয়েছে ৷ এর আগে আমির খান একাধিক সামাজিক ইস্যু তুলে ধরেছেন 'রং দে বাসন্তী', 'তারে জমিন পর' ছবির মধ্য দিয়ে ৷ আমির জানান, সাধারণ মানুষ সিনেমা হলে আসেন মজাদার ছবি দেখার জন্য ৷ তারমাঝেই পরিচালক চাইলে ছবির মাধ্যমে কোনও সোশাল মেসেজ দিতে পারেন ৷ আবার না দিতে চাইলে নাও দিতে পারেন ৷ তবে লাপাতা লেডিস ছবির ক্ষেত্রে পছন্দ হয়েছে গল্প ৷ কারণ এই ছবি আমাকে বিনোদন দিয়েছে ৷ আমি জানি, আমার মতো আরও অনেকেই এই ছবি থেকে বিনোদন উপভোগ করতে পারবেন ৷