কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: সোশাল মিডিয়া এখন সরগরম কুণাল ঘোষ ভার্সেস টলিপাড়ার তারকার বাগ্বিতন্ডায় ৷ অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্যকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এবং তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যর করা কটাক্ষের প্রকাশ্যে জবাব দিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রীর। পালটা ছেড়ে কথা বললেন না কুণাল ঘোষও।
সম্প্রতি কুণাল ঘোষ এবং দেবাংশু ভট্টাচার্যকে তুলোধনা করেন অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্য। বলেন, "এদের দুজনের ঘরে বসে বসে লেকচার বেরিয়ে যাবে যেদিন পাবলিকের সামনে পড়বে। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচাতে আসবেন না। একদিন তো ডাক্তারের কাছে আসতেই হবে, অসুস্থ সবাই হয় ৷ সেদিন কী হয় ওদের দেখব।"
কুণাল ঘোষ আর দেবাংশু পালটা লেখেন, "অভিনেত্রীর বদন বিগড়ে গিয়েছে, কাজ নেই, দজ্জাল।..."এহেন সব কথার বিরোধিতা করে সামাজিক মাধ্যমে লেখার পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ কনভেনশনে গিয়েও মুখ খোলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "একজন মুখপাত্র আরেকজন তরুণতুর্কী নেতাকে দেখলাম সমাজ মাধ্যমে একটি বিশেষ ভাষায় একজন অভিনেত্রীকে নিয়ে আলাপচারিতা করেছেন। অভিনেত্রীর দোষের মধ্যে হল উনি ওঁদের দুজনকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেছেন। হতেই পারে উনি অন্য রাজনৈতিক মতাদর্শের। সেই কারণে এই দুই নেতাকে কে অধিকার দিল অভিনেত্রীর 'বদন বিগড়ে গিয়েছে' লেখার?
অভিনেতা এদিন আরও বলেন, " অভিনেত্রী কাজ পান কি পান না, সেটা নিয়ে আলোচনা করার ওরা কারা? অভিনেত্রী বিবাহিত কি না, সেটা নিয়েও ওঁদের কথা বলতে হবে?" পরমব্রত এরপর আরও তীক্ষ্ণবাণে কুণাল ঘোষ এবং দেবাংশুকে আহত করে বলেন, "আমার কথা শুনে হয়ত ওঁরা তেলে বেগুনে জ্বলে যাবে কিন্তু এটাই সত্যি যে এখান থেকেই যৌন নিগ্রহের মানসিকতা শুরু হয়। এখান থেকেই ধর্ষণের মানসিকতা তৈরি হয়। এটা বদলানোর জন্য প্রত্যেককে প্রতিদিন প্রতিবাদ করতে হবে।"
কথাগুলো কানে যাওয়ার পরেই পালটা লিখলেন কুণাল ঘোষ। তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় শুনছেন? প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে দাঁড়িয়ে আমার/আমাদের সম্পর্কে আপনি বললেন, এক মহিলা আমাদের রাজনৈতিকভাবে বিরোধিতা করেছিলেন বলে আমরা কেন পাল্টা দিয়েছি? রাজনৈতিকভাবে ? প্রকাশ্য ভিডিয়োতে মারের কথা বলা, মারের প্ররোচনা দেওয়া রাজনৈতিক আক্রমণ?"
কুণাল আরও বলেন, "আপনি ভিডিওটা দেখেছেন? নাকি যা বললে বিপ্লবী সাজা যাবে, সেরকম কিছু বলেছেন হাততালি পেতে ? মারার হুমকি রাজনৈতিক বিরোধিতা? আপনি তথাকথিত তারকা হতে পারেন, কিন্তু সেই পরিচিতি ভাঙিয়ে মানুষকে ভুলপথে প্রভাবিত করার অধিকার আপনাকে কে দিল? ছিঃ।" এই ব্যাপারে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এত ফুটেজ দিতে রাজি নন ৷