কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর:পেশাজীবীদের অবসরকালীন তহবিল উন্নতি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক ব্যবস্থা রয়েছে । এর মধ্যে একটি হল গ্র্যাচুইটি (Gratuity)। পেশাজীবীদের ভবিষ্যত তহবিল বা এপিএফ-এর (EPF) মতো, গ্র্যাচুইটিও কর্মচারীদের এবং কোম্পানির অর্থে পুষ্ট একটি তহবিল। কিন্তু, ইপিএফ-এর ক্ষেত্রে কর্মচারীর বেতন থেকে একটি ছোট অংশ কেটে নেওয়া হয় এবং কোম্পানি বাকি দায় বহন করে । চলুন জেনে নেওয়া যাক গ্র্যাচুইটি কী, কত বছর চাকরির পর এই টাকা পাওয়া যায় এবং এই খাতে কোনও কর্মচারী কত টাকা পাবেন, তার হিসাব কীভাবে করা হয়...
গ্র্যাচুইটি কী?
বেসরকারি খাতে কর্মরত কর্মচারীদের অনেকরই গ্র্যাচুইটি সম্পর্কে তেমন সুস্পষ্ট কোনও ধারণা নেই। কোনও কর্মচারী একটি কোম্পানিতে 5 বছর ধরে কাজ করলে তিনি গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। সাধারণত, যখন একজন কর্মচারী চাকরি ছেড়ে দেন বা ওই নির্দিষ্ট মেয়াদের পর তাঁকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয় বা তিনি অবসর নেন, তখন তিনি তাঁর গ্র্যাচুইটির টাকা পান। কোনও কারণে চাকরির মেয়াদ শেষের আগে কোনও কর্মচারীর মৃত্যু হলে ওই টাকা তখন তাঁর মনোনীত ব্যক্তি বা নমিনি পাবেন।
গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট অ্যাক্ট 1972 কী বলছে ?
গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট অ্যাক্ট 1972 অনুযায়ী, একজন কর্মচারী সর্বোচ্চ 20 লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি পেতে পারেন। নিয়োগকর্তা বা কোম্পানিকেই গ্র্যাচুইটির পুরো টাকা তার কর্মচারীকে দিতে হয়। যে কোনও কোম্পানি, কারখানা, প্রতিষ্ঠান যেখানে 10 বা তার বেশি কর্মচারী 12 মাসে যে কোনও একদিনে কাজ করেছেন, তাঁরা গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট অ্যাক্ট-এর আওতায় আসবেন।
কোম্পানিতে কর্মচারীর সংখ্যা দশের কম হলেও, এটি আইনের আওতায় থাকবে। গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট অ্যাক্ট 1972-এ, কর্মচারীদের প্রাপ্ত গ্র্যাচুইটির পরিমাণের সূত্র নির্ধারণের জন্য কর্মচারীদের দুটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম বিভাগে ওই কর্মচারীরা এই আইনের আওতাভুক্ত, দ্বিতীয় বিভাগে রয়েছেন আইনের বাইরে থাকা কর্মচারীরা। বেসরকারী এবং সরকারী খাতে কর্মরত দুই ধরণের কর্মচারীই এই দুটি বিভাগে অন্তর্ভুক্ত।