ETV Bharat / sports

বিষ্ণু-হিজাজির গোলে মরা গাঙে বান, কেরালাকে হারাল ইস্টবেঙ্গল - ISL 2024 25

সীমিত সাধ্যের মধ্যেই বছরের প্রথম জয় কুড়িয়ে নিল লাল-হলুদ ৷ ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারাল 2-1 গোলে ৷

EAST BENGAL WIN
সেলিসের সঙ্গে গোলের উচ্ছ্বাস বিষ্ণুর (EAST BENGAL TWITTER)
author img

By ETV Bharat Sports Team

Published : Jan 24, 2025, 9:48 PM IST

কলকাতা, 24 জানুয়ারি: টানা তিন ম্যাচ হেরে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল দেওয়ালে ৷ টপ সিক্সের সম্ভাবনা কার্যত হাতছাড়া, এমতাবস্থায় হারানোর কিছু ছিল না ৷ তাই হয়তো কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে জ্বলে উঠল ইস্টবেঙ্গল ৷ সীমিত সাধ্য নিয়েও পরিকল্পনামাফিক ফুটবল খেলে জয়ের সরণিতে ফিরল অস্কার ব্রুজোঁর লাল-হলুদ ৷ যুবভারতীতে শুক্রবার নোয়া সাদৌয়ি, আদ্রিয়ান লুনা সমৃদ্ধ কেরালা ব্লাস্টার্সকে 2-1 গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল। সেইসঙ্গে বছরের প্রথম জয় তুলে নিল কলকাতা জায়ান্টরা ৷

গত বছর 21 ডিসেম্বর খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি ম্যাচে শেষ জিতেছিল লাল-হলুদ ৷ অর্থাৎ, একমাস তিনদিন পরে জয়ে ফিরল তাঁরা। পিভি বিষ্ণু এবং হিজাজি মাহেরের গোলে এদিন মশাল জ্বলল যুবভারতীতে। কেরালার হয়ে সান্ত্বনার গোল দানিশ ফারুখের। এই জয় 17 পয়েন্টে পৌঁছে দিল লাল-হলুদকে। যদি পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের হেরফের হল না।

টানা তিন ম্যাচ জিততে পারলে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্থাৎ, প্রথম ছ'য়ে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ কেরালা ম্যাচের আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজোঁ। লক্ষ্যপূরণটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলাতে এদিন সাজঘরের যাবতীয় অস্ত্র প্রয়োগ করেলেন কোচ। আহামরি ফুটবল পুরো 90 মিনিট জুড়ে ইস্টবেঙ্গল খেলেছে, তা বলা যাবে না। অঙ্ক কষে, রক্ষণ এবং মাঝমাঠের মধ্যে ফাঁক বুজিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন সৌভিক, বিষ্ণু, জিকসনরা।

ফলে নোয়া, লুনা, পেপরাহ সমৃদ্ধ কেরালার আক্রমণভাগ সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। বরং ক্লেইটন, দিয়ামান্তোকস এবং সেলিসরা একাধিকবার প্রতিপক্ষ রক্ষণকে সমস্যায় ফেললেন। কুড়ি মিনিটে ক্লেইটনের লম্বা পাস থেকে বুদ্ধিদীপ্ত স্কুপে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন বিষ্ণু। এরপর নষ্ট হল সহজ সুযোগ ৷ রিচার্ড সেলিসের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হল ৷ সবমিলিয়ে প্রথমার্ধ দাপটের সঙ্গে খেলেই 1-0 করে লাল-হলুদ।

দ্বিতীয়ার্ধে একইরকম ইস্টবেঙ্গল। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে দেখে মাঝামাঝি সময় চাপ বাড়াতে থাকে কেরালা। এই সময় কিছুটা খেলার বিপরীতে 72 মিনিটে নাওরেম মহেশের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে দ্বিতীয় গোল হিজাজি মাহেরের। দ্বিতীয় গোল খেয়ে আরও চাপ বাড়াতে থাকে কেরালা। 84 মিনিটে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ত্রুটিকে কাজে লাগিয়ে কেরালার হয়ে গোল দানিশের। বাকি সময় দু'পক্ষই চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গোলমুখ আর খোলেনি। ক্লেইটন একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট না-করলে গোলের খাতা খুলে ফেলতে পারতেন । আইএসএলে পঞ্চম জয় পাওয়ার দিনে ম্যাচের সেরা বিষ্ণু।

আরও পড়ুন:

কলকাতা, 24 জানুয়ারি: টানা তিন ম্যাচ হেরে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল দেওয়ালে ৷ টপ সিক্সের সম্ভাবনা কার্যত হাতছাড়া, এমতাবস্থায় হারানোর কিছু ছিল না ৷ তাই হয়তো কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে জ্বলে উঠল ইস্টবেঙ্গল ৷ সীমিত সাধ্য নিয়েও পরিকল্পনামাফিক ফুটবল খেলে জয়ের সরণিতে ফিরল অস্কার ব্রুজোঁর লাল-হলুদ ৷ যুবভারতীতে শুক্রবার নোয়া সাদৌয়ি, আদ্রিয়ান লুনা সমৃদ্ধ কেরালা ব্লাস্টার্সকে 2-1 গোলে হারাল ইস্টবেঙ্গল। সেইসঙ্গে বছরের প্রথম জয় তুলে নিল কলকাতা জায়ান্টরা ৷

গত বছর 21 ডিসেম্বর খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি ম্যাচে শেষ জিতেছিল লাল-হলুদ ৷ অর্থাৎ, একমাস তিনদিন পরে জয়ে ফিরল তাঁরা। পিভি বিষ্ণু এবং হিজাজি মাহেরের গোলে এদিন মশাল জ্বলল যুবভারতীতে। কেরালার হয়ে সান্ত্বনার গোল দানিশ ফারুখের। এই জয় 17 পয়েন্টে পৌঁছে দিল লাল-হলুদকে। যদি পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের হেরফের হল না।

টানা তিন ম্যাচ জিততে পারলে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্থাৎ, প্রথম ছ'য়ে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ কেরালা ম্যাচের আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজোঁ। লক্ষ্যপূরণটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলাতে এদিন সাজঘরের যাবতীয় অস্ত্র প্রয়োগ করেলেন কোচ। আহামরি ফুটবল পুরো 90 মিনিট জুড়ে ইস্টবেঙ্গল খেলেছে, তা বলা যাবে না। অঙ্ক কষে, রক্ষণ এবং মাঝমাঠের মধ্যে ফাঁক বুজিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন সৌভিক, বিষ্ণু, জিকসনরা।

ফলে নোয়া, লুনা, পেপরাহ সমৃদ্ধ কেরালার আক্রমণভাগ সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। বরং ক্লেইটন, দিয়ামান্তোকস এবং সেলিসরা একাধিকবার প্রতিপক্ষ রক্ষণকে সমস্যায় ফেললেন। কুড়ি মিনিটে ক্লেইটনের লম্বা পাস থেকে বুদ্ধিদীপ্ত স্কুপে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন বিষ্ণু। এরপর নষ্ট হল সহজ সুযোগ ৷ রিচার্ড সেলিসের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হল ৷ সবমিলিয়ে প্রথমার্ধ দাপটের সঙ্গে খেলেই 1-0 করে লাল-হলুদ।

দ্বিতীয়ার্ধে একইরকম ইস্টবেঙ্গল। সময় গড়িয়ে যাচ্ছে দেখে মাঝামাঝি সময় চাপ বাড়াতে থাকে কেরালা। এই সময় কিছুটা খেলার বিপরীতে 72 মিনিটে নাওরেম মহেশের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে দ্বিতীয় গোল হিজাজি মাহেরের। দ্বিতীয় গোল খেয়ে আরও চাপ বাড়াতে থাকে কেরালা। 84 মিনিটে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ত্রুটিকে কাজে লাগিয়ে কেরালার হয়ে গোল দানিশের। বাকি সময় দু'পক্ষই চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গোলমুখ আর খোলেনি। ক্লেইটন একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট না-করলে গোলের খাতা খুলে ফেলতে পারতেন । আইএসএলে পঞ্চম জয় পাওয়ার দিনে ম্যাচের সেরা বিষ্ণু।

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.