নয়াদিল্লি, 29 জুন: বাংলার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । পাশাপাশি রাজ্যের আর্থিক অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশেরও দাবি জানান রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ৷ অতিদ্রুত রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকারও দাবি জানিয়েছেন তিনি । শনিবার কলকাতা রাজভবনের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি এই কথা জানান ৷ তাঁর অভিযোগ আয়ের তুলনায় অতিরিক্ত খরচ করে বাংলার সরকার।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন তাবড় নেতাদের বিরুদ্ধে মানাহানির মামলা দায়ের করেছেন। এরপর প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে । শপথ-বিতর্কের মধ্যে দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল । শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পিকে মিশ্রর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। কলকাতার রাজভবনের এক্স হ্যান্ডেলে এই সমস্ত বৈঠক করার কথা জানিয়ে পোস্ট করা হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে তাও বলা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রাজ্যপালের
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নতুন সরকার শপথ নিয়েছে । প্রথা মেনে শুরু হয়েছে সংসদের উভয় কক্ষের অধিবেশন। এরপর বেশ হবে বাজেট । বাজেট কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে শুরু করে সংগঠন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে সুপারিশ করতে পারে । সেই মতো বাংলার রাজ্যপাল দেশের মৎস্য উন্নয়ন নিয়েও বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করেছেন । সেই রিপোর্ট নির্মলাকে দেন তিনি । শ্রম মন্ত্রকের একটি এক সদস্যের কমিশনের প্রধান হিসেবে তিনি এই রিপোর্টটি তৈরি করেছিলেন। মোদি সরকার প্রতিটি রাজ্যের রাজ্যপালকে সেখানকার উন্নয়নের দূত হিসেবে তুলে ধরে । এর মাধ্যমে রাজ্যে পরিকাঠামো বৃদ্ধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ যে দ্রুত গতিতে হয়ে চলেছে তা বোঝানোর চেষ্টা হয়। বাংলায় এই কাজ কেমন হচ্ছে তা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন রাজ্যপাল। এদিকে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গেও বলেন রাজ্যপাল । সেখানেও একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেন রাজ্যপাল ।
রাজ্য বিধানসভার দুই সদস্যের শপথ নিয়ে বেনজির পরিস্থিতি দেখছে বাংলা । সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনদের শপথ বাক্য পাঠ করাতে বিধানসভায় আসতে রাজি নন রাজ্যপাল । আবার বিধানসভার দুই নতুন সদস্যও চান বিধানসভাতেই শপথ নিতে। এমন আবহে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে রাজভবন সম্পর্কে কয়েকটি মন্তব্য করেছে শাসক শিবির। তালিকায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সায়ন্তিকা নিজেও আছেন । তাঁদের বলতে শোনা যাচ্ছে, মেয়েরা রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন । এর বেশি মুখে কেউ কিছু না বললেও ইঙ্গিতটা যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের দিকে তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না । এমনই আবহে শুক্রবার থেকে শাসক শিবিরকে পালটা দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন রাজ্যপাল।