পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

অসমে ভূমিধসে একই পরিবারের মৃত 5, বন্যায় দেড় লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত - Assam Flood

Assam Flood Situation: অসমের বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রাণ কেড়েছে 26 জনের ৷ 470টি গ্রামের 1.61 লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর এলাকায় ভূমিধসে শিশু-সহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ।

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 19, 2024, 7:38 PM IST

Assam Flood
অসমে বন্যা পরিস্থিতি (নিজস্ব ছবি)

গুয়াহাটি, 19 জুন: অসমে ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমিধস ৷ এই ঘটনায় মৃত্যু হল তিন বছরের শিশু-সহ একই পরিবারের পাঁচজনের ৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে অসমের করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরের বেন্দরগোল এলাকার তাজুরতাল গ্রামে। এসডিআরএফের দল ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দেহগুলি উদ্ধার করেছে । ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আব্দুল করিমের স্ত্রী রাইমুন নেসা (55), তাঁর মেয়ে সাহেদা খানম (18), জাহেদা খানম (16) ও হামিদা খানম (11) এবং নাতি মেহেদী হাসানের (3)।

এ বছর বন্যায় এখন পর্যন্ত অসমে 26 জনের মৃত্যু হয়েছে । একদিন আগে হাইলাকান্দিতে একজনের প্রাণ যায় । মৃতের নাম নিতাই শব্দকর (39) ৷ তিনি সাসপুর মোহনটিলা এলাকায় বন্যার জলে ভেসে যান । স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে এসকে রায় সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

470টি গ্রামের 1.61 লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত:রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় 470টি গ্রামের 1.61 লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । বন্যা কবলিত জেলাগুলি হল তামুলপুর, বোঙ্গাইগাঁও করিমগঞ্জ, লখিমপুর, উদালগুড়ি, দাররাং, ধেমাজি, নগাঁও, হোজাই, চিরাং, বারপেটা, বাকসা, নলবাড়ি এবং গোয়ালপাড়া ও বিশ্বনাথ । করিমগঞ্জ জেলায় বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে 210টি গ্রাম ।

বন্যায় প্রায় 60 হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ যার অধিকাংশই বনগাঁও জেলায়। এছাড়াও 39 হাজার 906 গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের 3982টি ত্রাণ শিবিরে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার । এই শিবিরগুলি করিমগঞ্জ জেলায় রয়েছে ।

বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ দিয়ে জল ছেড়ে দেওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । এমন একটি এলাকা হল কামপুর ৷ যেখানে এনইইপিসিও তরফে পরিচালিত 275 মেগাওয়াট কপিলি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বারা নির্গত জল হোজাই, পশ্চিম কার্বি অ্যাংলং এবং কামপুরের মানুষের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত:বান্দেরদেওয়া-ইটানগর সংযোগকারী জাতীয় সড়ক-সহ রাজ্যের অনেক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে । মেঘালয়ের শিলচর-গুয়াহাটি NH-6-তে একই অবস্থা ৷ এর ফলে রাজ্যের অন্যান্য অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বরাক উপত্যকা । বোরঝারের আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র অনুসারে, রাজ্যে 1 থেকে 12 জুন পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় 23 শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে ৷ হাওয়া অফিস 24 জুন পর্যন্ত রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে এবং কিছু জায়গায় 19 এবং 20 জুন পর্যন্ত ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ৷

নদীর জলস্তর বৃদ্ধি:বন্যার ফলে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । গত সন্ধ্যায় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, নগাঁও-কামপুরে কপিলি নদীর জলস্তর আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে ৷ তবে এটি বিপদ সীমার উপর থেকে বইছে । করিমগঞ্জের কুশিয়ারা-সহ সাতটি নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে । করিমগঞ্জের বরাক, মরিগাঁওয়ের কপিলি, কোকরাঝাড়ের গৌরাঙ্গ, বোঙ্গাইগাঁওয়ের মানহ, শিবসাগরের দিসাং, ধুবরির সোনকোশ এবং জোড়হাট ও ডিব্রুগড়ের ব্রহ্মপুত্র সতর্কতা চিহ্ন অতিক্রম করেছে ৷ কিন্তু এখনও বিপদসীমা উপরে বইছে না ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details