নয়াদিল্লি, 26 মার্চ: 2013 সালে দিল্লিতে ভাড়া বাড়ি থেকে 25 বছরের এক মণিপুরী যুবতীকে রহস্যজনক ভাবে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল ৷ 10 বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সেই ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করেছে । প্রাথমিকভাবে পুলিশ আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছিল ৷ যদিও সারা ঘরে ছিল রক্তের ছিটে এবং মৃত ব্যক্তির মুখ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল ৷ এই সব দেখে পরবর্তী ক্ষেত্রে এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয় ।
নিহতের আত্মীয়রা প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের দাবিতে বারবার সরব হলেও কোনও লাভ হয়নি, রহস্যভেদ হয়নি ৷ সেই ঘটনা সম্পর্কে শীর্ষ আদালত বলেছে যে, ফৌজদারি তদন্ত অবশ্যই ন্যায্য এবং কার্যকর উভয়ই হতে হবে এবং সাধারণ নাগরিকদের দ্বারা আনা প্রকৃত অভিযোগ গ্রহণের জন্য আদালতেরও জীবিত থাকা প্রয়োজন ।
বিচারপতি জেকে মহেশ্বরী এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে যে, আপাতদৃষ্টিতে 25 বছর বয়সি একটি যুবতীর আত্মহত্যা করার কোনও কারণ নেই বলে মনে হচ্ছে এবং প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না । 22 শে মার্চ দেওয়া রায়ে আদালত বলেছে, "অপরাধের দৃশ্যে দেখা যায় যে, মেঝেতে রক্তের ছিটে ছিল এবং বিছানার চাদরটি সম্পূর্ণভাবে রক্তে ভিজে গিয়েছিল । এটি একটি হত্যায় মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে এবং তাই দোষীদের অবশ্যই গ্রেফতার করা উচিত ৷"
বেঞ্চ বলেছে যে বর্তমান আবেদনকারীরা, যাঁরা মৃতের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং মণিপুরের বাসিন্দা, তাঁরা সর্বদা দাবি করেছেন যে এটি একটি ধর্ষণ এবং হত্যার মামলা এবং পুলিশ অভিযুক্তদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে । বেঞ্চ বলে যে মৃত যুবতী দিল্লি থেকে অনেক দূরে মণিপুরের 'উখরুল' জেলার বাসিন্দা । বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, মৃতের আত্মীয়রা শুধুমাত্র কার্যকর তদন্তের জন্য প্রার্থনা করছেন, যাতে দোষীদের গ্রেফতার করা যায় এবং বিচারের আওতায় আনা যায় । অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ বলেন, তদন্ত যদি সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয় তবে তাঁর কোনও আপত্তি নেই ।
দিল্লি পুলিশ প্রাথমিকভাবে 2013 সালের 31 মে আত্মহত্যায় প্ররোচনার জন্য একটি এফআইআর দায়ের করেছিল ৷ মেয়েটির দেহ দিল্লির চিরাগ এলাকায় তাঁর ভাড়া বাড়িতে পাওয়া যাওয়ার তিন দিন পরে এফআইআর দায়ের হয় । দেহে দুটি ময়নাতদন্তে 11টি ভিন্ন ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি ।