নয়াদিল্লি, 5 জানুয়ারি:ফের বিতর্কে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ রমেশ বিধুরী ৷ আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কালকাজি কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি ৷ এবার তিনি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ৷ এহেন মন্তব্য ঘিরে রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ চাপের মুখে রবিবার বিকেলে ক্ষমাও চেয়ে নেন রমেশ বিধুরী ৷
কী বলেছেন রমেশ বিধুরী ?
আম আদমি পার্টি'র (আপ) রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন ৷ সেখানে রমেশ বিধুরীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "ক্ষমতায় এলে কালকাজির সব রাস্তা প্রিয়াঙ্কা গান্ধিজির গালের মতো করে দেব ৷" স্বভাবতই এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেস ৷
দলের সোশাল মিডিয়ার চেয়ারপার্সন সুপ্রিয়া শ্রীনাতে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "বিজেপি মহিলা বিরোধী দল ৷ রমেশ বিধুরী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা লজ্জাজনক ৷" এই প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও নিশানা করে বলেন, "এটাই বিজেপির আসল চেহারা ৷ এই ভাষা ও ভাবনা নিয়ে বিজেপির নেত্রী বা নারী কল্যাণ মন্ত্রী বা দলের সভাপতি জেপি নাড্ডাজি অথবা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কি কিছু বলবেন ? আসলে এই মহিলা বিরোধী কুৎসিত ভাষা ও চিন্তার জনক খোদ মোদিজি ৷ তিনি মঙ্গলসূত্র আর মুজরার মতো শব্দ ব্যবহার করেন ৷ তাহলে তাঁর দলের সদস্য আর কী বলবেন ? এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত ৷"
এরপর রবিবার বিকেলে বিজেপি নেতা রমেশ বিধুরী সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, "এই ধরনের কথা তো আগেও বলা হয়েছে ৷ লালু যাদব যা বলেছিলেন, আমি সেই সূত্র ধরেই বলেছি ৷ যখন তিনি (লালু যাদব) কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী ছিলেন ৷ তখন কংগ্রেস চুপ ছিল ৷ যদি আমার মন্তব্যে কেউ আহত হয়ে থাকেন, আমি তার জন্য অনুতপ্ত ৷ আমি আমার কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি ৷" প্রসঙ্গত, বিহারে রাস্তা কতটা ভালো হবে তা বোঝাতে গিয়ে বলিউডের এক বিখ্যাত নায়িকার কথা বলে বিতর্কে জড়ান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। বিধুরির হাত ধরে আবারও ফিরল সেই স্মৃতি।
রমেশ বিধুরী এর আগেও তাঁর মন্তব্যের জন্য বিতর্কে জড়িয়েছেন ৷ এর আগে 2023 সালে সংসদের বাদল অধিবেশনে তিনি তৎকালীন বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি) সাংসদ দানিশ আলিকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন ৷ সেই সময় তাঁকে নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ সাংসদ পদ খারিজের দাবিও উঠেছিল। তবে শেষমেশ তেমন কিছু হয়নি। তাঁকে অবশ্য সতর্ক করেছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকেই প্রার্থী করে বিজেপি।