জয়পুর, 30 জানুয়ারি: লিভ-ইন সম্পর্কের সংজ্ঞা বদলে যেতে চলেছে ! সোমবার থেকে উত্তরাখণ্ডে চালু হয়ে গিয়েছে নতুন বিধি। এবার রাজস্থান হাইকোর্ট জানিয়ে দিল লিভ-ইন সম্পর্কে যুগলকে থাকতে হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের চুক্তিপত্র দরকার ৷ আর তার জন্য একটি ওয়েব পোর্টালও চালু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
সম্পর্কের সুরক্ষা চেয়ে কিছু যুগল আবেদন জানায় রাজস্থান হাইকোর্টে ৷ শুনানিতে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অনুপ কুমার ধন্ড পর্যবেক্ষণে জানান, লিভ-ইন সম্পর্কের চুক্তিপত্র ওয়েব পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে ৷ তিনি আরও জানান, আমাদের সমাজ এখনও এই ধরনের সম্পর্ককে অনুমোদন দেয় না। হিন্দু বিবাহ আইনে লিভ-ইন সম্পর্কের কোনও ধারণার উল্লেখ নেই। আদালত জানিয়েছে, সরকারের তরফে এবিষয়ে যথাযথ আইন কার্যকর না-হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি জেলায় লিভ-ইন সম্পর্কের বিষয়টি দেখবে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশ, কোনও যুগল লিভ-ইন করতে চাইলে তাঁদের জন্য একটি চুক্তিপত্র থাকা বাধ্যতামূলক । যুগল একত্রবাসে থাকাকালীন কোনও পরিবার পরিকল্পনা করছে কি না, সন্তানের জন্ম দিলে তার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে কী কী ভাবনা রয়েছে, তা চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে। একত্রবাসে থাকা তরুণী রোজগেরে না-হলে, তাঁর রোজগেরে সঙ্গীর কী কী দায়দায়িত্ব থাকবে এবং সন্তানের জন্ম হলে, তার প্রতিই বা কী দায়িত্ব থাকবে, সে কথাও চুক্তিপত্রে থাকতে হবে।
সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হয়েছে। সেখানেও একত্রবাসের জন্য রেজিস্ট্রেশনের কথা বলা হয়েছে। সরকারি রেজিস্ট্রেশন ফাঁকি দিয়ে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। লাগু হওয়া নতুন বিধি অনুযায়ী, নিয়ম না-মানলে বা রেজিস্ট্রেশনে কোনও তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল দিলে তিন মাসের জেল কিংবা 25 হাজার টাকা জরিমানাও হতে পারে সেই অবিবাহিত যুগলের।