নয়াদিল্লি, 14 ফেব্রুয়ারি: শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ পাঁচ বছর আগে এই 14 ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের গাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা ৷ মৃত্যু হয় বহু সেনার ৷ সেই দিনটির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "পুলওয়ামায় যে সাহসী জওয়ানরা শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই ৷ দেশ তাঁদের আত্মবলিদানের কথা আজীবন মনে রাখবে ৷"
2019 সালের 14 ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সেনা জওয়ানরা সিআরপিএফ জওয়ান বোঝাই গাড়িতে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ হয় ৷ এই জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল মাসুদ আজহার ৷ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় 40 জনেরও বেশি সেনার ৷ এর জবাবে পাকিস্তানের বালাকোটে সন্দেহজনক জঙ্গিঘাঁটিগুলির উপর পালটা হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা ৷
এদিন জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে সিআরপিএফ বাহিনীর একটি কনভয় যাচ্ছিল ৷ 78টি গাড়িতে 2 হাজার 500 জনেরও বেশি জওয়ান ছিল ৷ বেলা 3টের সময় ওই লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ-ই-মহম্মদের এক জঙ্গি ৷ পরে জানা যায় ওই আত্মঘাতী জঙ্গির নাম আদিল আহমেদ দার ৷ সে মাসুদ আজহারের জইশ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য ৷ তার বয়স ছিল মাত্র 22 ৷ এই আত্মঘাতী হামলায় 40 জনেরও বেশি জওয়ান শহিদ হন ৷
এর পর 26 ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ুসেনা পালটা জবাব দেয় ৷ হঠাৎ ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে জঙ্গিঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করে বায়ুসেনা ৷ এরপর দিনই পাকিস্তানের বায়ুসেনাও হামলা চালায় ৷ ভারতীয় মিগ বিমান আইএএফ মিগ-21 নামিয়ে আনে পাকিস্তানের বায়ুসেনা ৷ ওই মিগ বিমানের পাইলট অভিনন্দনকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পাকিস্তান ৷ পরে অবশ্য তাঁকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷ তবে এই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয় ৷
আরও পড়ুন:
- পুঞ্চে সেনার গাড়িতে পুলওয়ামার মতো জঙ্গি হামলা, শহিদ 4 জওয়ান
- পুলওয়ামা হামলা নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট, 5 বছরের কারাদণ্ড বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার
- পুলওয়ামা হামলায় মৃত বেড়ে ৪৫, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা