অসম, 26 জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে 75তম সাধারণতন্ত্রের প্রাক্কালে ঘোষিত হয়েছে পদ্ম সম্মানে যাঁরা সম্মানিত হয়েছেন তাঁদের নাম ৷ সেই তালিকায় যেমন বাংলার মিঠুন চক্রবর্তী, ঊষা উত্থুপ রয়েছেন তেমনই আছেন একাধিক আনসাং হিরো, যাঁরা নিজেদের কাজে ও দায়িত্বে থেকেছেন অবিচল ৷ আজ তাঁরা হলেন সম্মানিত ৷ সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতের প্রথম মহিলা মাহুত ৷ যিনি পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন ৷ অসমের মোট তিনজন পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন ৷
ধুবড়ির গৌরীপুরের পার্বতী বড়ুয়াকে পদ্মশ্রী পুরস্কার সম্মানিত করা হয়েছে। পার্বতী বড়ুয়া ভারতের প্রথম মহিলা মাহুত। পাশাপাশি মডেল কৃষক সর্বেশ্বর বসুমাতারীও দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মশ্রীতে ভূষিত হয়েছেন। কে এই পার্বতী বড়ুয়া ? পার্বতী ভারতের প্রথম মহিলা যিনি হাতি শিকার করা, প্রশিক্ষণ করা কাজের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত ৷ বিশ্বে তিনি পরিচিত 'কুইন অফ দ্য এলিফ্যান্টস' নামে অর্থাৎ হাতিদের রানি নামে ৷
1967 সালে যখন পাবর্তীর বয়স মাত্র 14 তখন তিনি অসমের কচুগাও থেকে প্রথম হাতি ধরেন ৷ বর্তমানে পার্বতীর তত্ত্বাবধানে মোট 400টি হাতি রয়েছে, যাদের তিনি প্রশিক্ষণ দেন, দেখভাল করেন ৷ 2003 সালে অসম সরকার তাঁর এই কাজের জন্য লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট 'অনারারি চিফ এলিফ্যান্ট ওয়ার্ডেন অফ অসম' পুরস্কারে সম্মানিত করে ৷ এছাড়াও 1989 সালে পার্বতীকে 'গ্লোবাল 500 রোল অফ ওনার' অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করে ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগাম ৷
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ লেখক মার্ক শান্ড প্রথমবার বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করান অসমের পার্বতী বড়ুয়ার ৷ 1995 সালে উত্তরবঙ্গে হাতিদের ক্যাম্পে মার্ক শান্ডের পরিচয় হয়েছিল পার্বতীর ৷ তাঁর কাজ দেখে মুগ্ধ হন মার্ক ৷ এরপর পার্বতীকে নিয়ে তিনি একটি বই লেখেন, যার নাম ছিল 'কুইন অফ দ্য এলিফ্যান্টস' ৷ সেই থেকে বিশ্ব দরবারে পার্বতী বড়ুয়া পরিচিত হন ৷