নয়াদিল্লি, 17 ডিসেম্বর: বিলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সায় মিলেছে আগেই ৷ মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হল 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বিল ৷ মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে এই বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল ৷ বিলের বিরোধিতা করেন বিরোধীরা ৷ বিল প্রত্যাহারের দাবি করেন তাঁরা ৷ এই বিল পেশ করার জন্য লোকসভায় ভোটাভুটির দাবি করলেন বিরোধী সাংসদরা ৷ নতুন সংসদ ভবনে এটাই প্রথম ভোটাভুটি ৷ বিলের পক্ষে ভোট 269 এবং বিপক্ষে ভোট 198 ৷
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী এদিন লোকসভায় সংবিধান সংক্রান্ত দু’টি বিল পেশ করেন । একটি সংবিধান (১২৯তম সংশোধনী) বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল। বিল পেশ হতেই হট্টগোল শুরু করেন বিরোধীরা ৷ তাঁর বিল প্রত্যাহারের দাবি জানান বিরোধী সাংসদরা ৷ কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্য দলগুলিও এই বিলের বিরোধিতা করে। এই বিল সংবিধানের পরিপন্থী বলে মনে করেন বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বিল সংবিধানের মূল কাঠামোই আঘাত করবে।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন গত 12 ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে এই বিলে সায় দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৷ সূত্রের দাবি, তারপরই বিলটিকে লোকসভায় পেশ করা নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করে কেন্দ্র সরকার ৷ সেকারণে মঙ্গলবার বিজেপি-সহ শাসকজোট এনডিএ-র সাংসদদের মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে উপস্থিত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ সূত্রের খবর, এদিন লোকসভায় উপস্থিত থাকার জন্য সকল কংগ্রেস সাংসদদের উইপ জারি করা হয়েছে ৷
এদিকে, বিলের বিপক্ষে লোকসভার সেক্রেটরিকে নোটিশ দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি ৷ তাঁর দাবি, এই বিল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী ৷ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ৷ তাঁর কথায়, "এই বিল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সরাসরি আঘাত করবে ৷ এই ধরণের পদক্ষেপে রাজ্যের স্বায়ত্তশ্বাসন, স্থানীয় গণতান্ত্রিক অধিকার ও ক্ষমতা কেন্দ্রীয়করণের ঝুঁকি রয়েছে ৷"