কলকাতা, 14 এপ্রিল: কলকাতার তিন জায়গায় এসেছিল বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত দু'জন নয়, বরং তিনজন । এনআইএ'র দাবি, তৃতীয়জনের নাম মুজাম্মিল শরিফ । বিস্ফোরণের ঘটনায় তাকেই চেন্নাই থেকে প্রথম গ্রেফতার করেছিল এনআইএ ৷ এবার তাই নিউ দিঘা থেকে গ্রেফতার আবদুল মাতিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিবের সঙ্গে মুজাম্মিল শরিফকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান এনআইএ'র আধিকারিকরা ।
জানা গিয়েছে, ত্বহা এবং সাজিব দু'জনেই জঙ্গি সংগঠন আইএসের 'আল হিন্দ' মডিউলের সদস্য । সন্দেহ করা হচ্ছে, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক ছিল ত্বহা এবং সাজিবের । তাই এ রাজ্যে এসেছিল তারা । এখানে কে তাদের পালাতে সাহায্য করত সে বিষয়েও খোঁজ শুরু হয়েছে । 'আল হিন্দ' মডিউলের এখানে কোনও গোপন গোষ্ঠীর কাজ করছে কি না, তাও খুঁজে দেখছেন গোয়েন্দারা ।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এ রাজ্যে এসে আবদুল মাতিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিবকে আত্মগোপনের প্রয়োজনীয় টাকা দিয়েই চলে গিয়েছিল মুজাম্মিল শরিফ । কিন্তু তারপরেই গ্রেফতার হয় সে । মুজাম্মিলের কাছ থেকেই ত্বহা এবং সাজিবের কথা জানা গিয়েছিল বলেও গোয়েন্দা সূত্রের দাবি । গত বৃহস্পতিবার রাতে এসটিএফ এবং স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এনআইএ পূর্ব মেদিনীপুরের নিউ দিঘার একটি হোটেল থেকে ত্বহা এবং সাজিবকে গ্রেফতার করে ।
গত শুক্রবার কলকাতার আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়া হয় । শনিবার বেঙ্গালুরুর বিশেষ এনআইএ কোর্টে হাজির করানো হয় ৷ দু'জনকেই 10 দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক । অভিযোগ, গত 1 মার্চের বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণে ক্যাফের রান্নাঘরের সামনে বাসন মাজার জায়গায় চুপচাপ বোমা বিস্ফোরক রেখে চলে এসেছিল মুসাভির হুসেন সাজিব । তার এক ঘণ্টা পর সেখানে একটি বিস্ফোরণ ঘটে । তাতে 10 জন আহত হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন:
- রামেশ্বরম ক্যাফের মূল দুই অভিযুক্তের 10 দিনের এনআইএ হেফাজত
- হোটেল থেকে চাঁদনি চকে অবাধ বিচরণ! প্রকাশ্যে দুই সন্দেহভাজনের সিসিটিভি ফুটেজ
- রামেশ্বরম বিস্ফোরণে ধৃত দুই অভিযুক্তের ট্রানজিট রিমান্ড পেল এনআইএ - Bengaluru Cafe Blast