নয়াদিল্লি, 16 ডিসেম্বর: কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠকে সমাধানসূত্র এখনও অধরাই ৷ বৃহস্পতিবারও দিল্লি চলো মহামিছিল করে কৃষকরা ৷ পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানার দু'টি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাধে কৃষকদের৷ এরপর রাতে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা, কেন্দ্রীয় শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই ৷
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা এই বৈঠককে সদর্থক বলে উল্লেখ করলেও কৃষকরা পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ৷ দীর্ঘ 5 ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলার পর অর্জুন মুণ্ডা সাংবাদিকদের বলেন, "কৃষদের সংগঠনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে ৷ কৃষকদের দাবিদাওয়াগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ রবিবার সন্ধ্যা 6টায় ফের বৈঠক হবে ৷ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানসূত্র খুঁজে পাব ৷"
এই বৈঠকে ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান ৷ নয়াদিল্লিতে সকাল 8.45 মিনিট থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠক শেষ হয় বিকেল 5টায়৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, কৃষক নেতা এবং সরকারের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ৷ একাধিক বিষয়ে দুই পক্ষই একমত হয়েছে ৷ এর সঙ্গে তিনি কৃষকদের মহামিছিল আটকাতে হরিয়ানা পুলিশের ড্রোন ব্যবহারের দিকটিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নজরে আনেন ৷ তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই তিন মন্ত্রীর প্রতিনিধি দল ভগবত মানেক আশ্বস্ত করেছেন, তাঁরা হরিয়ানা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন ৷ এদিনের বৈঠকে ছিল অরাজনৈতিক সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা জগজিৎ সিং দাল্লেওয়াল এবং কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারওয়ান সিং পানধের ৷
অরাজনৈতিক এসকেএম নেতা জগজিৎ সিং দাল্লেওয়াল বলেন, "শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ চালিয়ে যাব ৷ আমরা কৃষকদের কাছেও আবেদন জানাব ৷ একদিকে যখন বৈঠক চলছে, তখন যদি আমরা সীমানার দিকে এগিয়ে যাই, তাহলে বৈঠক কী করে হবে ৷ সরকার বৈঠক ডেকেছে ৷ আমরা ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করব ৷ রবিবারও যদি বৈঠকে কোনও রফাসূত্র না পাওয়া যায়, তাহলে আমরা আবার প্রতিবাদ, বিক্ষোভ শুরু করব ৷"
আরও পড়ুন:
- পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় উত্তেজনা, বিক্ষোভরত কৃষকদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাসের সেল পুলিশের
- বড় ঘোষণা, আন্দোলনে আহত কৃষকদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে পঞ্জাব সরকার
- 'হিংসা সমাধান নয়', বিক্ষোভরত কৃষকদের আলোচনায় বসার আহ্বান অনুরাগ ঠাকুরের