ভুবনেশ্বর, 17 জুলাই:সরকার বিরোধিতায় নয়া দিশা দেখালেন ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। দলের 50 জন বিধায়ককে সরকারে বিভিন্ন বিভাগের উপর নজরদারি রাখার দায়িত্ব দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। প্রায় আড়াই দশক বাদে বিরোধী আসনে বিজু জনতা দল বা বিজেডি। এবার 51টি আসনে জিতেছে নবীনের দল। নবীনকে বাদ দিয়ে দলের অন্য বিধায়করা বিভিন্ন বিভাগের কাজের উপর নজর রাখবেন। 22 জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। সেখানেই বিধায়করা নিজেদের পর্যবেক্ষণ নিয়ে সরব হবেন।
ভারতে এই ধরনের উদ্যোগ খুব একটা দেখা যায়নি। লোকসভা থেকে শুরু রাজ্যসভা, বিধানসভা বা বিধান পরিষদে বিরোধী জনপ্রতিনিধিরা সামগ্রিকভাবে সরকার বিরোধিতা করে থাকেন । তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে সরকারের কাজের সমালোচনা করেন। সংসদীয় এবং পরিষদীয় কমিটিতেগুলিতে অবশ্য বিষয় ভিক্তিক বিরোধিতা দেখা যায়। তবে এভাবে দফতর ধরে ধরে বিরোধিতা করার জন্য বিধায়কদের দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে শোনা যায়নি।
ভারতে এই ধরনের ঘটনা নতুন হলেও আমেরিকা বা ইংল্যান্ডের মতো প্রথম বিশ্বের দেশে ছায়া মন্ত্রিসভা তৈরি হয়ে থাকে। সেখানে বিরোধী দলের প্রধান নেতাকে আগামিদিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হয়। আর তাছাড়া প্রতিটি বিভাগের জন্য একজন নেতা বা নেত্রীকে সম্ভাব্য মন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হয়। ক্ষমতায় আসার পর ওই তাঁদেরই সেই দায়িত্বে আনা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যাঁর যে বিষয়ে জ্ঞান আছে, তাঁকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কাকে কোন দফতরের উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে তার তালিকা দিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রত্যেক বিধায়ককে এক থেকে দুটি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তালিকার একেবার শুরুতেই রয়েছে রণেন্দ্রনাথ নাথ সোয়াইনের নাম। তাঁকে রাজস্ব এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাজের দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এরপর আছে প্রমিলা মল্লিকের নাম। তিনি পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পানীয় জল নিয়ে সরকার কী করছে তার দিকে খেয়াল রাখবেন। সেভাবেই প্রসন্ন আচার্য অর্থ দফতরেরে পাশাপাশি সরকারের খরচের বিষয়টি দেখবেন । স্টিল ও খনিজর বিষয়টি দেখবেন গণেশ বেহেরা । ধ্রুবচরণ শাহু দেখবেন পর্যটন সংক্রান্ত বিষয়।