ইম্ফল, 9 ফেব্রুয়ারি: ইস্তফা দিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ৷ রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার সঙ্গে রবিবার বিকেলে দেখা করে হাতে তাঁর ইস্তফাপত্র তুলে দেন ৷ রাজ্যপাল তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন ৷ নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত না-হওয়া পর্যন্ত মণিপুরের কার্যকরী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এন বীরেন সিংকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা ৷
পদত্যাগের আগে এদিনই সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বীরেন সিং দেখা করেছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ তারপর ইস্তফা দিলেন এন বীরেন সিং ৷ এদিকে তাঁর ইস্তফাকে কটাক্ষ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি থেকে শুরু করে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ ৷
এই ঘটনায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "প্রায় দু'বছর ধরে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং মণিপুরে শুধু বিভাজনে প্ররোচনা দিয়েছেন ৷ হিংসা, প্রাণহানি, ধ্বংস সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী মোদি এই বিভাজন চালিয়ে যেতে দিয়েছেন ৷ জনগণের চাপেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ইস্তফা দিয়েছেন ৷ এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত এবং কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাব তাঁকে বাধ্য করেছে ৷ কিন্তু এসব কিছুর ঊর্ধ্বে সবার আগে রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা দরকার ৷ একবার অন্তত প্রধানমন্ত্রী মোদি মণিপুরে যান ৷ সেখানকার মানুষের কথা শুনুন ৷ রাজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে তিনি কী ভাবছেন, তা ব্যাখ্যা করুন ৷"
রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "আগামিকালই মণিপুর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করত কংগ্রেস ৷ সেই অবস্থা বুঝতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিলেন ৷ 2023 সালের মে মাসে মণিপুরের সংঘর্ষের ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে আসে ৷ তখন থেকেই কংগ্রেস তাঁর ইস্তফা চেয়ে আসছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দিতে দেরি করেছেন ৷"