বিজাপুর, 11 অগস্ট:খুনোখুনির কারণ একটি ষাঁড় ! হ্যাঁ, ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে একটি ষাঁড়কে কেন্দ্র করে দুই ব্যক্তির মধ্য়ে বিবাদ বাধে ৷ আর তা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে এক ব্যক্তি আরেকজনকে খুন করে বসেন ৷ ঘটনার কেন্দ্রে থাকা ওই ষাঁড়টি একটি অন্য মাঠে ঢুকে পড়ে ৷ তা নিয়ে ঝামেলা বাধে দু'জনের মধ্যে ৷ সমস্যার সমাধানে পঞ্চায়েত বৈঠক ডাকে ৷
সেখানে সুরাহা তো মিললই না, উলটে বিবাদ চরম আকার নিল ৷ তার জেরে খুন হলেন এক ব্যক্তি ৷ এমন ঘটনা ঘটেছে বিজাপুরের বারেগুডা গ্রামে ৷ আহত হয়েছেন তিন জন ৷ মৃত ও জখম ব্যক্তিরা একই পরিবারের ৷ আহতদের ভোপালপট্টনম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে ৷
ষাঁড় নিয়ে বিবাদ
এই গ্রামের বাসিন্দা নরেন্দ্র কাবাটি এবং মোরলা বানাইয়া ৷ ষাঁড় নিয়ে তাঁদের মধ্যে খিটিরমিটির লেগেই থাকত দু'জনের মধ্যে ৷ মোরলা বানাইয়ার ষাঁড়টি মাঝেমধ্যেই নরেন্দ্র কাবাটির মাঠে ঢুকে পড়ত ৷ সেখানে একেবারে তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়ে ছাড়ত বলে জানা গিয়েছে ৷ ফসলও নষ্ট করে দিত ৷ বানাইয়ার ষাঁড়ের এই তাণ্ডব নিয়ে রবিবার পঞ্চায়েত একটি বৈঠক ডাকে ৷
নরেন্দ্র কাবাটি, মোরলা বানাইয়া- দুই পরিবারের সদস্যরা পঞ্চায়েতের ডাকা বৈঠকে আসেন ৷ গ্রামের লোকজনও উপস্থিত হয় ৷ পঞ্চায়েতের বৈঠক শুরু হতে না হতেই দু'পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে ৷ অভিযোগ, এরপর নরেন্দ্র কাবাটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে বানাইয়া পরিবারের চারজনের উপর চড়াও হয় ৷ প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হন মোরলা বানাইয়া ৷ আহত হয়েছেন তাঁরই পরিবারের তিন জন ৷
এই প্রসঙ্গে এক গ্রামবাসী অরুণ কাবাটি বলেন, "মোরলা বানাইয়ার ষাঁড় প্রায়ই নরেন্দ্র কাবাটির মাঠে ঢুকে পড়ত ৷ সেই জন্য পঞ্চায়েত মিটিং ডেকেছিল ৷ কোতওয়ার, প্যাটেল এবং মহিলা সরপঞ্চ সেখানে হাজির ছিলেন ৷ তাঁদের উপস্থিতিতেই নরেন্দ্র কাবাটি মোরলা বানাইয়া ও তাঁর পরিবারকে আক্রমণ করে ৷ তাতে মোরলার মৃত্যু হয়েছে ৷"
ভোপালপট্টনম থানার আধিকারিক জীবন কুমার জাঙ্গড়ে বলেন, "বারেগুডায় খুনের ঘটনায় তদন্ত চলছে ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের পর বানাইয়ার দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৷"