ছাপরা (বিহার), 15 মার্চ: স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৷ পরে ওই ব্যক্তি নিজের প্রাণনাশের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ছাপরা জেলার একমা ব্লকের রসুলপুরে ৷ অভিযুক্ত বর্তমানে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ছাপরার একমার বাসিন্দা বিট্টু কুমার বিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী রম্ভা দেবীর দুই ক্যান সন্তান রয়েছে ৷ বড় মেয়ে অংশিকা কুমারী (15) এবং ছোট মেয়ে চঞ্চল কুমারী (12) ৷ বিট্টু কুমার বিন্দের কোনও রোজগার ছিল না ৷ যা নিয়ে প্রায় রোজই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত ৷ তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্যদের টাকায় সংসার চলত ৷ যা নিয়ে রম্ভা দেবী প্রায় তাঁকে কথা শোনাতেন বলে অভিযোগ ৷ যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায় অশান্তি লেগে থাকত ৷ বৃহস্পতিবার রাতে দু’জনের মধ্যে ফের অশান্তি শুরু হয় ৷
অভিযোগ দু’জনের মধ্যে অশান্তি চলাকালীন বিট্টু তাঁর স্ত্রীর উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন ৷ তাঁকে কোপাতে শুরু করেন ৷ তা দেখে দুই মেয়ে অংশিকা এবং চঞ্চল তাদের মাকে বাঁচাতে যায় ৷ তখন বিট্টু কুমার বিন্দ তাঁর দুই মেয়েকেও কোপাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ ৷ এরপর নিজের শরীরেও একাধিকবার আঘাত করেন বিট্টু ৷ পরিবারের বাকি সদস্য এবং প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে তাঁদের ঘরে যায় ৷ সেখানে চারজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, রম্ভা দেবী এবং তাঁর এক মেয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছিলেন ৷ আরেক মেয়েকে চিকিৎসার জন্য পাটনা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ৷ মাঝ রাস্তায় তারও মৃত্যু হয় ৷ অন্যদিকে, বিট্টু কুমার বিন্দকে হাসপাতালে ভরতি করেছে পুলিশ ৷ রসুলপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ জানা গিয়েছে, বিট্টু কুমার বিন্দ সম্প্রতি তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করতে কলকাতা এসেছিলেন ৷ এখান থেকে ছাপরার বাড়িতে ফেরার পরেই এই ঘটনাটি ঘটেছে ৷
আরও পড়ুন:
- 3 দিন স্ত্রীর দেহের সঙ্গে বন্ধ ঘরে ব্যক্তি, ভুবনেশ্বরের ঘটনায় চাঞ্চল্য
- স্ত্রীকে খুন করে 100 ডায়াল, পুলিশের কাছে ধরা দিল অভিযুক্ত স্বামী
- অস্ট্রেলিয়ায় ডাস্টবিনে উদ্ধার ভারতীয় মহিলার দেহ, খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী