নয়াদিল্লি, 4 জানুয়ারি: আজ সুফি সাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তির 813তম উরস উৎসব ৷ সেই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাদর পাঠালেন আজমেঢ় শরিফ দরগায় ৷ সেই চাদর শনিবার আজমেঢ় শরিফ দরগায় চড়়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ৷
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এ দিন সকালে জয়পুর বিমানবন্দরে পৌঁছন এবং সেখান থেকে সড়কপথে আজমেঢ় শরিফে যান । এরপর দরগায় গিয়ে চাদর অর্পণ করেন । চাদর চড়ানোর পাশাপাশি শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আজমেঢ় শরিফের অফিসিয়াল ওয়েব পোর্টাল এবং 'গরিব নওয়াজ' নামে নতুন মোবাইল অ্যাপ চালু করেন ৷ যার লক্ষ্য হল, ভক্তদের সুবিধার্থে এবং উরস উদযাপনের সময় সমন্বয় আরও ভালো করা ।
জয়পুর বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কিরেন রিজিজু বলেন, ‘‘উরসের সময় 'গরিব নওয়াজ'-এর দরগায় যাওয়া আমাদের দেশের পুরনো ঐতিহ্য ৷ আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে দেওয়া চাদর চড়ানোর সুযোগ পেয়েছি । এই বার্তাটি সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের । দেশে একটি সম্প্রীতিপূর্ণ পরিবেশ থাকা উচিত এবং প্রতিটি স্তরের মানুষের একসঙ্গে বসবাস করা উচিত । এই প্রার্থনা নিয়েই আজমেঢ় শরিফে চাদর চড়ানো ।"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভগীরথ চৌধুরী এবং রাজস্থানের জলসম্পদ মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিং রাওয়াতও এ দিন কিরেন রিজিজুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ৷ রিজিজু বলেন, ‘‘উরস উৎসব উপলক্ষে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ 'গরিব নওয়াজ'-এর কাছে আশীর্বাদ চান । প্রধানমন্ত্রী মোদির তরফে দেওয়া চাদর চড়ানো মানে পুরো দেশের মানুষের হয়ে তা নিবেদন । আজমেঢ় শরিফ দরগায় যাওয়ার সময় লক্ষ লক্ষ মানুষকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় । আমরা এটি কাটিয়ে উঠতে নতুন কিছু শুরু করার চেষ্টা করছি ৷"
আজমেঢ় শরিফের অনুষ্ঠানের আগে কিরেণ রিজিজু শুক্রবার নয়াদিল্লিতে হযরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার পরিদর্শন করেন । রিজিজু বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খাজা মঈনুদ্দিন চিস্তির উরসে আজমেঢ় শরিফ দরগায় চড়ানোর জন্য চাদর দিয়েছেন ৷"