বেঙ্গালুরু, 30 অক্টোবর: ভোরে উঠে যোগাসনে মন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের ৷ সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ক্যামিলা পার্কার ৷ সন্ধ্যায় ধ্যান ৷ দুপুরে নিরামিষ ভোজন ৷ স্বাস্থ্য ফেরাতে তিনটি দিন ভারতে এসে বাঁধাধরা নিয়মের মধ্যে ছিলেন তাঁরা ৷
বুধবার সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তিন দিন তাঁরা দক্ষিণ ভারতের একটি ওয়েলনেস সেন্টারে এভাবেই কাটিয়েছেন ৷ এদিন সকালে ভারত ছাড়েন ৷ বেঙ্গালুরুর সামেথানাহল্লিতে অবস্থিত 'সৌক্যা' আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৷ স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে এখানে এসেছিলেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও ক্যামিলা পার্কার ৷ এই প্রথম বার নয়, 2019 সালে 71তম জন্মদিনটিও এখানে কাটান ব্রিটেনের রাজা ৷ সৌক্যা সংস্থার কর্ণধার ডাঃ আইজ্যাক মাথাইকে গত বছর 6 মে তাঁর রাজ্যাভিষেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন চার্লস ৷
সৌক্যা হেলথ সেন্টারে যোগাসন, ধ্যান, বিভিন্ন রকম থেরাপির মাধ্যমে স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের চিকিৎসা হয় ৷ এই সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, "রাজা তৃতীয় চার্লস ও তাঁর স্ত্রী এখানে থেরাপিউটিক যোগাসন করেন ৷ একেবারে নিরামিষ খাওয়াদাওয়া করেছেন ৷ স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের চিকিৎসা হয়েছে ৷ তার মধ্যে ধ্যান এবং থেরাপি ছিল ৷" এছাড়া রাজা তৃতীয় চার্লস আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি এবং ন্যাচারোপ্যাথির চিকিৎসাও করেছেন ৷
ওই আধিকারিক বলেন, "সকালে থেরাপিউটিক যোগাসন দিয়ে তাঁরা দিন শুরু করতেন ৷ ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ৷ তিনি রাজা চার্লস ও তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী যোগা করিয়েছেন ৷ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে রাজা চার্লস একাও খানিকটা সময় কাটিয়েছেন ৷ প্রাতঃরাশের পর এই চিকিৎসা শুরু হয় ৷ এরপর দুপুরের খাবার খান রাজা তৃতীয় চার্লস ৷"
সংস্থার ক্যাম্পাসেই সবজি চাষ হয় ৷ সেখান থেকে তুলে আনা সবজি দিয়ে রাজা ও তাঁর স্ত্রীর খাবার তৈরি হয়েছে ৷ সন্ধ্যার সময়টা তাঁরা ধ্যান করেই কাটিয়েছেন বলে জানালেন আধিকারিক ৷ তিনি আরও বলেন, "রাজা চার্লস সবজি থেকে শুরু করে যা যা খেয়েছেন সব এই ফার্মেই উৎপাদিত ৷" তিনি আরও বলেন, "এখানে প্রত্যেক অতিথি এভাবেই কাটান ৷ শুধু একটাই পার্থক্য, প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা, সমস্যা এক নয় ৷ সেই অনুযায়ী চিকিৎসা হয় ৷"
এই তিন দিন সৌক্যায় থাকার সময় এখানকার চাষের জায়গাটি ঘুরে দেখেন রাজা চার্লস ও ক্যামিলা ৷ এর সঙ্গে ঔষধি গাছগাছালির বাগান, গরুর থাকার জায়গা দেখতে গিয়েছিলেন তাঁরা ৷ দু'জনে ঘাসের উপর দিয়ে হেঁটেছেন ৷ অন্য পরিবেশবান্ধব অভ্যাসগুলি রপ্ত করেছেন এখানে ৷ প্রজাপতি, ফড়িং, খরগোশ নিয়ে প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটিয়েছেন বাকিংহামের রাজা ও রানি ৷ বুধবার সকালে তাঁরা চলে যান, জানালেন ওই আধিকারিক ৷ এখানে থাকাকালীন 30 একর জমির মধ্যিখানে একটি জাকারান্দা গাছের চারা রোপণ করেছেন রাজা চার্লস ৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জানা যায়, ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার আক্রান্ত ৷ পরে তাঁর চিকিৎসা হয় ৷