বেঙ্গালুরু, 7 ফেব্রুয়ারি:নাবালিকার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই ঘটনায় আংশিক স্বস্তি পেলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। মামলা খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রবীণ নেতা। পাশাপাশি আগাম জামিনের আবেদেনও করেছিলেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর করলেও মামলা খারিজ করেনি। হাইকোর্টের নির্দেশ নিম্ন আদালতে এই মামলার শুনানি আগের মতোই চলবে।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, ট্রায়াল কোর্ট আগের মতোই বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারে। তবে, তদন্ত এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে ৷ এমনটা জানিয়ে বিষয়টি ফের ট্রায়াল কোর্টে ফেরত পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। বেঙ্গালুরুর সদাশিবনগর থানায় দায়ের হয়েছিল এই পকসো মামলাটি । 17 জানুয়ারি এই মামলা বাতিলের জন্য ইয়েদুরাপ্পার দায়ের করা আবেদনের শুনানি শেষ হয় হাইকোর্টে। এরপর রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত ৷ শুক্রবার বিচারপতি এম নাগপ্রসন্নের বেঞ্চ সেই মামলায় রায় ঘোষণা করেছে। আদেশের বিস্তারিত তথ্য অবশ্য এখনই জারি করেনি হাইকোর্ট ৷
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর সদাশিবনগর থানায় 2024 সালের 14 মার্চ ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, 17 বছর বয়সি এক নাবালিকার মা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেন। মায়ের দাবি ছিল, ফেব্রুয়ারি মাসের 2 তারিখ নিজের বাড়িতে নাবালিকার যৌন নিগ্রহ করেছেন ইয়েদুরাপ্পা। এই ঘটনায় পকসো আইনের কয়েকটি ধারার পাশাপাশি আইপিসি-র অধীনে মামলা দায়ের হয়েছিল।
এর কয়েকমাস পর 2024 সালের 13 জুন হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদন করেন ইয়েদুরাপ্পা। 14 জুন আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট মামলার তদন্ত স্থগিত করতে রাজি হয়নি ৷ তবে সেদিনও সিআইডি তদন্তকারীদের আদালত নির্দেশ দেয় ইয়েদুরাপ্পাকে গ্রেফতার করা যাবে না। পরবর্তী কালে হাইকোর্ট গত 12 জুলাই আরও একটি নির্দেশ জারি করে। জানায়, ইয়েদুরাপ্পাকে ট্রায়াল কোর্টের শুনানির সময় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকতে হবে না। অবশেষে, 17 জানুয়ারি আবেদনের শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট। এদিন সেই মামলার রায় ঘোষণা হল। আংশিকভাবে ইয়েদুরাপ্পার আবেদন মঞ্জুর হল। প্রবীণ নেতা আগাম জামিন পেলেও মামলার খারিজ হল না ।