নয়াদিল্লি/গাজিয়াবাদ:ঝাঁ-চকচকে মিষ্টির দোকান ৷ সেই দোকানে সিঙারা খেতে গিয়ে ক্রেতার চোখ কপালে উঠল ! উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরমের একটি নামী মিষ্টির দোকানের সিঙারায় মিলল মরা ব্যাঙের পা ৷ আরেকটু হলেই ওই বস্তু যেত ক্রেতার পেটে ৷ এরপরই ক্রেতা আমন শর্মা রেগে গিয়ে তা দোকানদের হাতে দেন ৷ আশপাশের লোকজনও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ৷ আমন শর্মা পুলিশকে ফোন করে জানান, দোকানের সিঙারায় মিলেছে ব্যাঙের পা ৷
আরেকটু হলেই খেয়ে নিতেন ব্যাঙের পা ! নামী দোকানের সিঙারায় এসব কী? - Frog Leg in Samosa
Frog Leg in Samosa at Ghaziabad: নামী দোকানে ক্রেতা গিয়েছিলেন সিঙারা কিনতে ৷ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ক্রেতা সিঙারা দিতে বলেন ৷ দোকানদারের দেওয়া সিঙারা এককামড় দিতেই চক্ষু চড়কগাছ ক্রেতা আমন শর্মার ৷ সিঙারার ভিতরে এটা কী! ব্যাঙের পা!
Published : Sep 12, 2024, 7:09 PM IST
এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন ৷ পাশাপাশি, তাঁরা দোকানের কর্মীদের সঙ্গে তর্ক ও গালিগালাজ করছেন। দোকান মালিককে পুলিশকে ফোন করতে বলছেন ৷ ক্ষুব্ধ ক্রেতারা দোকানের কর্মচারীকে ব্যাঙের পা-দেওয়া সিঙারা দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করছিলেন, আপনি কি এই সিঙারা খেতে পারেন ? এরপর কর্মচারীরা যখন বলেন, এটা ভুল করে হয়ে থাকতে পারে ৷ তখন তিনি জানান, তাঁরা যে কোনও জায়গা থেকে সিঙারা কিনতে পারেন ৷ তাহলে কেন বেশি টাকা খরচ করে তাঁদের কাছে আসেন। এরপরই শুরু হয় উত্তেজনা ৷
খবর পেয়ে পুলিশ দোকান মালিককে হেফাজতে নেয়। পরে অবশ্য শান্তিভঙ্গের দায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে, খাদ্য দফতরের টিম আসার আগেই অভিযোগকারী চলে গেলেও সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। চিফ ফুড সেফটি অফিসার আশুতোষ রাই বলেন, "সিঙারায় ব্যাঙের পা-মেলার পরই পুলিশের ফোন আসে আমাদের কাছে। তদন্তের জন্য একজন খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা দোকানের রান্নাঘর, মিষ্টির দোকান, গুদাম ঘর ইত্যাদি পরিদর্শন করেছেন। সমস্ত জায়গার সিঙারার নমুনা পরীক্ষার জন্য লখনউতে পাঠানো হয়েছে। নমুনা রিপোর্ট পাওয়ার পর রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"