নয়াদিল্লি, 12 ফেব্রুয়ারি: কাতারে বেশ কয়েক মাস বন্দি থাকার পর মাতৃভূমিতে পা রেখেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন আধিকারিকরা জোর গলায় বলে উঠলেন, 'ভারত মাতা কি জয়'৷ তাঁদের মুখে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা ৷ তাঁর পক্ষ থেকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা করা না হলে, তাঁদের মুক্তি সম্ভব ছিল না বলে মনে করছেন দেশে ফেরা প্রাক্তন নৌসৈনিকরা ৷
দিল্লি এ বিষয়ে ক্রমাগত কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং আইনি সহায়তা চালিয়ে যাওয়ায় তাঁদের মৃত্যুদণ্ড পরবর্তীতে বর্ধিত কারাগারে রূপান্তরিত করা হয় । অবশেষে মুক্তি পেয়ে এই সাতজন প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার সোমবার ভোরে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছন ৷
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময়, নৌবাহিনীর প্রবীণ এক প্রাক্তন আধিকারিক বলেন, "শেষ পর্যন্ত নিরাপদে ও সুস্থভাবে বাড়িতে ফিরে আসতে পেরে আমি স্বস্তি ও আনন্দিত বোধ করছি । প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই ৷ কারণ তাঁর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ না থাকলে আমাদের মুক্তি সম্ভব হত না । আমিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই ।"
স্বস্তির হাসি হেসে অপর এক মুক্তিপ্রাপ্ত প্রাক্তন নৌ অফিসার এএনআই-কে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদির হস্তক্ষেপ ছাড়া, আমরা মুক্ত হতাম না । আমরা আজ আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারতাম না, যদি আমাদের স্বাধীনতার জন্য তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও সর্বোচ্চ স্তরে হস্তক্ষেপ না থাকত ।"
তাঁদের মুক্তি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের প্রশংসা করে অপর একজন মুক্ত নৌসেনা কর্তা বলেন, "আমরা এবং সেইসঙ্গে আমাদের উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে আসার এই দিনটির জন্য দীর্ঘকাল ধরে অপেক্ষা করছিলাম । এটি বাস্তবায়িত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে । তিনি কাতারের সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমাদের মামলা তুলে ধরেন এবং অবশেষে আমাদের মুক্তি নিশ্চিত করেন । তাঁর এবং কাতারের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর মতো আমার কাছে ভাষা নেই । আমরা ফিরে আসতে পেরে খুব খুশি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে ব্যক্তিগত আগ্রহ না দেখালে এটা সম্ভব হত না । আমি কাতারের আমিরকেও ধন্যবাদ জানাই, তাঁর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার জন্য ৷"
অপর এক প্রাক্তন নৌবাহিনী কর্মকর্তা এএনআই-কে বলেন, "আমরা ভারতে আমাদের প্রিয়জনদের কাছে ফিরে আসার জন্য প্রায় 18 মাস অপেক্ষা করেছি । আমাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ । প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং কাতারের আমিরের যৌথ প্রচেষ্টা ছাড়া আমরা এই দিনটি দেখতে পেতাম না । দুই নেতার ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমীকরণও আমাদের মুক্তিতে সহায়তা করেছে ৷"
আরও পড়ুন:
- ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য, দেশে ফিরলেন কাতারে 'মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত' নৌসেনা কর্তারা
- কাতার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ভারতীয়দের সাজা মকুবে আইনি পদক্ষেপ নয়াদিল্লির
- কাতারকে নিয়ে নয়া কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ভারত