নিউদিল্লি, 21 এপ্রিল:পূর্ব দিল্লির গাজিপুর ভাগাড়ে আগু লাগে রবিবার সন্ধ্যায় ৷ গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার জেরে ক্রমেই তা ভয়াবহ চেহারা নেয় বলে দাবি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ৷ রাত থেকেই দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে ৷ দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের এক আধিকারিক বলেন, "আমরা বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে পেরেছিলাম ৷ প্রাথমিকভাবে দমকলের দু'টি ইঞ্জিনকে পাঠানো হয়েছিল ৷ পরে, আরও ছ'টি দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর যাবতীয় চেষ্টা করছেন।"
দমকল আধিকারিকদের মতে, অতিরিক্ত ফায়ার টেন্ডারগুলিকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে ৷ প্রয়োজনে সেগুলিও পাঠানো হবে ৷ দমকলের এক আধিকারিকের কথায়, "ভাগাড়ে অগ্নিকাণ্ড দীর্ঘ সময়ের জন্য চলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অপারেশন চলাকালীনই সহজেই আরও আগুনের পকেটগুলি খুঁজে পাব আমরা ৷ আমরা সেই চেষ্টাই করছি ৷" অর্থাৎ, এখনও সম্পূর্ণভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলেই জানাচ্ছে দমকল কর্তৃপক্ষ ৷ এর জন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানিয়েছে তারা ৷ পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেন, "আমরা এলাকাটি ঘিরে রেখেছি ৷ রাস্তাও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, যাতে দমকলের ইঞ্জিনগুলি সহজেই পৌঁছতে পারে।" সাধারণ মানুষকে ঘটনাস্থলে দাঁড়াতে বা ভিডিয়ো করারও অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ।
এক্স পোস্টে, দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয় লেখেন, "গাজিপুর ল্যান্ডফিল সাইটের একটি ছোট অংশে আগুন লেগেছে। সব আধিকারিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন ৷ আপাতত সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ৷" ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন ডেপুটি মেয়র আলে মহম্মদ ইকবাল ৷ তিনি বলেন, "গাজিপুর ল্যান্ডফিল সাইটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, আমি ঘটনাস্থলেই রয়েছি। আমি প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছি আধিকারিকদের। গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে ৷” আগুন নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি এক্সকাভেটর মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, বিজেপি এই ঘটনায় দিল্লি সরকারকে এক হাত নিয়েছে ৷ তারা পালটা অভিযোগ করেছে, গত বছরের 31 ডিসেম্বরের মধ্যে গাজিপুর ল্যান্ডফিল সাইট সাফ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার ৷ কিন্তু রাজ্য সরকার সেই কথা রাখেনি। একটি বিবৃতিতে, দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র প্রবীণ শঙ্কর কাপুর জানান, ল্যান্ডফিল সাইটে আগুনের ফলে ধোঁয়ায় পুরো এলাকা গ্রাস করেছে ৷ যা বাসিন্দা এবং ব্যবসায়িকদের অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল 2022 সালের এমসিডি নির্বাচনের আগে গত বছরের 31 ডিসেম্বরের মধ্যে এই ল্যান্ডফিল সাইটটি পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।