নয়াদিল্লি, 3 নভেম্বর: হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে খুন করল দুষ্কৃতীরা ৷ পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে দিল্লির জইতপুর এলাকায় নিমা হাসপাতালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ৷ নিহত চিকিৎসকের নাম জাভেজ আখতার ৷ তিনি ইউনানি চিকিৎসক (বিইউএমএস) ছিলেন ৷ একটি চেয়ারে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায় ৷ তাঁর মাথা থেকে চুঁইয়ে রক্ত পড়ছিল ৷
বুধবার দু'জন চিকিৎসা করাতে আসে ওই হাসপাতালে ৷ সেই অজুহাতে তারা চিকিৎসক জাভেদ আখতারকে গুলি করে চলে যায় ৷ হাসপাতালের কর্মীদের কথায়, রাত তখন 1.45 মিনিট ৷ কালিন্দী কুঞ্জ থানা এলাকার জইতপুরের নিমা হাসপাতালে আসে দুই দুষ্কৃতী ৷ তারা জানায়, ক্ষতস্থানে চিকিৎসা করতে সেখানে এসেছে এবং পরে ডাক্তার জাভেদের সঙ্গে দেখা করতে চায় ৷
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, ওই দুই দুষ্কৃতী নাবালক ৷ তাদের বয়স 16 বছর ৷ তাদের একজনের পায়ের পাতায় ব্যান্ডেজ করা ছিল ৷ তারা বুধবারের আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারও হাসপাতালে এসেছিল ৷ ওই কিশোরের ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করা হয় ৷ এরপরই তারা জাভেদ আখতারের কেবিনে যায় ৷
এর কিছুক্ষণ পর নার্স গাজালা পরভীন এবং মহম্মদ কামিল বন্দুকের গুলির শব্দ শুনতে পান ৷ পরভীন ডাক্তার জাভেদ আখতারের কেবিনে ছুটে যান ৷ তিনি দেখতে পান, চিকিৎসক জাভেদ আখতার রক্তাক্ত অবস্থায় চেয়ারে বসে আছেন ৷ প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, এটা হঠাৎ খুনের ঘটনা নয় ৷ আগে থাকতে জাভেদ আখতারকে নিশানা করা হয়েছিল ৷ রেইকি করে তারপর পরিকল্পনামাফিক ঠান্ডা মাথায় খুন ৷ পুলিশ এলাকা, হাসপাতালের ভিতরের সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখছে ৷
আম আদমি পার্টি এই ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং দিল্লির উপ-রাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার দিকে আঙুল তুলেছে ৷ এই ঘটনায় প্রমাণ হয় বিজেপি সরকার এবং উপ-রাজ্যপাল ব্যর্থ, জানিয়েছে দিল্লির শাসকদল ৷