অযোধ্যা, 23 জানুয়ারি: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পুজোয় 15 দম্পতি মুখ্য যজমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৷ সোমবার ওই পুজোয় অংশ নেওয়া নিয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া, "ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা ও একটি গর্বের মুহূর্ত ৷" তাঁরা জানিয়েছেন, এই অভিজ্ঞতা তাঁদের সারাজীবন মনে থাকবে ৷
এই 15 দম্পতির মধ্যে পৌরহিত্য়ের দায়িত্বে ছিলেন আরএসএস নেতা অনিল মিশ্র ও তাঁর স্ত্রী ৷ অনিল মিশ্র শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের 15 জন ট্রাস্টির অন্যতম ৷ তাঁদের সঙ্গে বাকি 14 দম্পতিকে সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল ৷ সেই তালিকায় দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসর শ্রেণি ও উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিও ছিলেন ৷ সারা দেশ থেকে এঁদের বাছা হয়েছিল ৷ 16 জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান শুরু হয় ৷ সেদিন থেকেই তাঁরা পুজোয় অংশ নিয়েছেন ৷
ডোম রাজা মণিকর্ণিকা ও হরিশ্চন্দ্র ঘাটে চিতা জ্বালানোর কাজে নেতৃত্ব দেন ৷ তিনি হরিজনদের মধ্যে সর্বনিম্ন উপজাতির রাজা হিসাবে বিবেচিত হন । সেই ডোম রাজার পরিবারের তরফে অনিল চৌধুরি ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্নাদেবী ছিলেন অন্যতম যজমান ৷ অনিল চৌধুরি বলেন, "দিনটি আমাদের স্মৃতিতে চিরকালের জন্য খোদাই করা থাকবে । অনুষ্ঠান চলাকালীন আমাদের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল ৷ কারণ, এটি এমন একটি ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা ছিল ৷"
'যজমান' তালিকায় অন্যরা হলেন - রাজস্থানের উদয়পুরের রামচন্দ্র খারাদি, অসমের রাম কুই জেমি, রাজস্থানের জয়পুরের গুরুচরণ সিং গিল, তামিলনাড়ুর আদালারাসান, কর্ণাটকের লিঙ্গরাজ বাসভরাজ এবং মহারাষ্ট্রের বিঠল রাও কাম্বলে । এছাড়াও যজমানদের মধ্যে মহারাষ্ট্রের লাতুরের ঘুমান্তু সমাজ ট্রাস্টের মহাদেব রাও গায়কওয়াড়, লখনউয়ের দিলীপ বাল্মিকি, কাশীর কবীন্দ্র প্রতাপ সিং ও কৈলাস যাদব, হারদোইয়ের কৃষ্ণ মোহন ও উত্তর প্রদেশের মুলতানি লোহার সম্প্রদায়ের রমেশ জৈন এবং হরিয়ানার পালওয়ালের অরুণ চৌধুরি ছিলেন ।