হায়দরাবাদ, 9 জুন: চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল রামোজি রাওয়ের ৷ তারই প্রমাণ মিলল রবিবার রামোজি গ্রুপ অফ কোম্পানিজের চেয়ারম্যানের শেষকৃত্যে ৷ পরিবারের সঙ্গে কাঁধ দিয়ে রামোজি রাওয়ের মরদেহ 'স্মৃতি ভানামে' নিয়ে এলেন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু ৷ রামোজি রাওয়ের শেষকৃত্যে তাঁর চোখে জলও দেখা গেল এদিন ৷ জীবদ্দশায় নিজের শেষকৃত্যের জায়গা বাছাই করে গিয়েছিলেন রামোজি রাও ৷ সেখানেই পরিবারের সদস্য, কাছের মানুষ, প্রিয়জন, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং অগণিত অনুগামীদের উপস্থিতিতে এদিন শেষকৃত্য সম্পন্ন হল তাঁর ৷
সকলেরই জানা, রামোজি রাও চন্দ্রবাবু নাইডুর কঠিন সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ৷ তাঁদের দু'জনের মধ্যে স্নেহ, ভালোবাসা ও সম্মানের সম্পর্ক ছিল ৷ যার বয়স 40 বছরের বেশি ৷ শনিবার চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন রামোজি রাও ৷ মিডিয়া টাইকুনকে রবিবার শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন চন্দ্রবাবু নাইডু ।
অন্ধ্রপ্রদেশের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী এদিন সকাল 10টা নাগাদ হায়দরাবাদে অবতরণ করেন এবং তারপরে তিনি রামোজি রাওয়ের বাসভবনে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় আজ রামোজি গ্রুপের প্রধানের । তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন ৷ তিনি মুখ্য সচিবকে আনুষ্ঠানিক সম্মানের সঙ্গে রামোজি রাওয়ের শেষকৃত্য পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন ।
রামোজি রাওয়ের মৃত্যুর খবর শুনে চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছিলেন, "এটা খুবই দুঃখজনক। তিনি একজন যুগপুরুষ । আমি রামোজি রাওকে 40 বছর ধরে চিনি । রামোজি রাও সবসময় সমাজ ও তেলেগু ভাষাভাষির মানুষের জন্য ভালো কাজ করেছেন ৷ একটি সাধারণ গ্রামে সাধারণ পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন তিনি ৷ কিন্তু অসাধারণ মানুষ হয়ে ওঠেন এবং তারপরে তিনি ইনাডু প্রতিষ্ঠা করেন । তিনি সবসময় বলতেন যে, তিনি কেবল ধর্ম মেনে কাজ করবেন ।" অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার শিল্পপতি তথা মিডিয়া টাইকুনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার জন্য তিনজন সিনিয়র আইএএস অফিসারকে মনোনীত করেছিল ৷ এর পাশাপাশি অন্ধ্র সরকার রবিবার ও সোমবার দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ৷
শনিবার ভোর 4টে 50 মিনিটে হায়দরাবাদের স্টার হাসপাতালে 87 বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রামোজি রাও ৷ গত 5 তারিখ থেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় রামোজি রাও'কে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে ৷ সেখানেই চিকিৎসা চলছিল রামোজি গ্রুপের চেয়ারম্যানের ৷