নয়াদিল্লি, 22 জানুয়ারি: বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে রাজধানী দিল্লি এখন সরগরম। পরপর তিনবার আপের সরকার নাকি অন্য কোনও রাজনৈতিক শক্তির চমকপ্রদ জয়- কী হতে চলেছে তা জানা যাবে 8 ফেব্রুয়ারি। তার আগে 5 ফেব্রুয়ারি হবে ভোট গ্রহণ ৷ এবারের ভোটে কয়েকটি কেন্দ্রের লড়াই ঘিরে তরজা শুরু হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম চাঁদনি চক। আপ, বিজেপি ও কংগ্রেস তিন শিবির থেকেই প্রার্থী হয়েছেন তিন হেভিওয়েট । বিজেপি প্রার্থী করেছে সতীশ জৈনকে । আপের তরফে প্রার্থী হয়েছেন পুনর্দীপ সাহানি । কংগ্রেস থেকে প্রার্থী হয়েছেন মুদিত আগরওয়াল ।
সতীশের জনসংযোগ ভরসা বিজেপির
সতীশের রাজনৈতিক জীবন অনেকদিনের। 1967 সালে ভারতীয় জনসঙ্ঘের সদস্য হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। পরে দীর্ঘদিন আরএসএসের নানা পদে কাজ করেছেন । 1997 সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। 2002 সালে মডেল টাউন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। সতীশের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং জনসংযোগ পদ্ম শিবিরকে কতটা সাহায্য করে সেটাই দেখার। গত 31 বছর এই কেন্দ্রে পদ্মফুল ফোটেনি। এবার নিজের রাজনৈতিক ক্যারিশমার সাহায্যে কি তেমন কিছু করে দেখাতে পারবেন সতীশ?
আগরওয়াল পরিবার এবং 100 বছরের ঐতিহ্য
কংগ্রেস প্রার্থী মুদিত আগরওয়ালের বাবা ছিলেন দলের দাপুটে নেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ জয়প্রকাশ আগরওয়াল । এই চাঁদনি চক আসন থেকেই তিনি লোকসভায় নির্বাচিত হতেন। একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে আগরওয়ালদের বাস এই চাঁদনি চকে। সেই সূত্রে বিধানসভা আসনটি হাতের তালুর মতো চেনা কংগ্রেস প্রার্থীর । আর তা যে হাত শিবিরকে খানিকটা হলেও এগিয়ে রাখবে তাতে কোনও সংশয় নেই ।
স্থানীয় সংগঠনে মন আপের
গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন আপের বিধায়ক প্রহ্লাদ সিং সাহানি । তাঁকে এবার আর প্রার্থী করেনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল । তাঁর বদলে প্রার্থী হয়েছেন দলের কাউন্সিলর পুনর্দীপ সাহানি ।
চাঁদনি চক এবং আলকা লাম্বা