নয়াদিল্লি, 17 মার্চ: দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার দিনই একাধিক বার খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের মুখে শোনা গেল চার 'এম' বা 'ম'-এর কথা ৷ যে 'ম' নিয়ে দুশ্চিন্তা আর আক্ষেপ দুই-ই শোনা গেল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের গলায় ৷ শনিবার বিজ্ঞান ভবনে দেড় ঘণ্টার সাংবাদিক বৈঠকে বারবার হিংসামুক্ত ভোট করানোর ব্যাপারে বদ্ধপরিকর থাকার কথা জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ ৷ তারপরও তাদের সামনে যে বড় চ্যালেঞ্জ 'ফোর এম' বা চারটি 'ম' তা নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজীব কুমার। তবে সেগুলির মোকাবিলা করার বিষয়েও একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
শনিবার দেশের লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন। সেই সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক বিষয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ৷ সেখানেই তিনি 'ফোর এম'-এর প্রসঙ্গ তোলেন ৷ এই চার ‘ম’ কী কী ? উত্তরে খোদ রাজীব কুমার জানিয়েছেন, মাসল পাওয়ার (পেশিশক্তি), মানি পাওয়ার (অর্থশক্তি), মিস ইনফরমেশন (ভুয়ো তথ্য বা খবর) এবং মডেল কোড অফ কনডাক্ট (আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি)। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘‘আমরা ভোটের আগে, ভোটের সময়ে এবং ভোটের পরে কোনও রকম হিংসা বা রক্ত চাই না। হিংসামুক্ত ভোট করানোর বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। কিন্তু আমাদের সামনে চার ম-এর চ্যালেঞ্জ রয়েছে।"
একই সঙ্গে, এই বিষয়গুলির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য যে কমিশন প্রস্তুত তাও অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন রাজীব কুমার ৷ তিনি বলেন, "দুনিয়ার বৃহত্তম গণতন্ত্রের এই উৎসবকে হিংসাহীন রাখতে কাজ করব। এমন অনেক রাজ্য রয়েছে, যেখানে হিংসার ঘটনা প্রতি নির্বাচনেই ঘটে।" সে সব রাজ্যের ক্ষেত্রে যে কমিশন বিশেষ ভাবে নজর দিচ্ছে তাও শনিবার স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।
কমিশন সাফ জানিয়েছে এই চার 'ম'-এর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমানে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে কমিশন ৷ শুধু বাহিনী মোতায়েন নয়, ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার ক্ষেত্রে নাকা তল্লাশি, চেক পোস্টগুলিকে সক্রিয় করার পাশাপাশি ড্রোন ক্যামেরাতেও নজরদারি চালাবে কমিশন ৷ পেশিশক্তি রুখতে কমিশনের বক্তব্য, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রয়েছে বা গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে ৷ প্রশাসন ঠিক মতো কাজ করছে কি না দেখতে বা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যথাযথভাবে মোতায়েন করা হচ্ছে কি না দেখতে বিশেষ অবজার্ভার নিয়োগ করছে কমিশন ৷ একইভাবে, মানি পাওয়ার রুখতেও বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালাবে কমিশন ৷ কাজে লাগানো হবে ইডি-কেও ৷ নজরদারি চালানো হবে সোশাল মিডিয়ার উপরেও ৷