পুরী, 26 অগস্ট: ওড়িশায় বার্ড ফ্লু আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে ৷ এর মধ্যেই পুরী জেলার পিপিলি এলাকার 54টি ফার্মের 50 হাজার মুরগি মারা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই, ভাইরাসের বিস্তার রোধে 12 সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে, খামার বাছাই নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বার্ড ফ্লু আক্রান্ত মুরগির খামার নির্বাচন নিয়ে আধিকারিকদের ঘেরাও করেন খামার ব্যবসায়ীরা।
কীসের ভিত্তিতে খামার বাছাই করা হয়েছে তা নিয়েও ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলেছেন ৷ অন্যদিকে স্বচ্ছভাবে খামার নির্বাচন না হলে তা বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। 150টিরও বেশি খামার থাকলেও, পিপিলি তেশুপুর এলাকায় 54টি খামারকেই সংক্রামিত ঘোষণা করা হয়েছে। পালটা খামার ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে ৷
অন্যদিকে,গত দু'দিনে পিপলিতে 5 হাজার 749টি মুরগি মারা হয়েছে ৷ সত্যবাদীতে 14 হাজার 365টি মুরগি মারা হয়েছে ৷ এখানেই শেষ নয়, পিপিলির 54টি ফার্মে আরও 50 হাজার মুরগি মারা হবে বলে খবর ৷ সূত্রের দাবি, রাজ্যের অন্য অংশে ভাইরাল সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে 12 সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে, মুরগি নিধনের আগে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করায় পোল্ট্রি খামারের মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে। ক্ষতিপূরণ না পেলে একটি মুরগিও মারা যাবে না বলে হুমকিও দিয়েছেন ক্ষুব্ধ খামারিরা।
এক খামারচাষি বলেন, “আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা ধার করে ব্যবসা করেছি ৷ মুরগি পালনের জন্য 3 লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছি। যদি আমার মুরগি মারা হয় তাহলে আমাকে ক্ষতিপূরণ কে দেবে ?” ওড়িশা পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সেক্রেটারি প্রদ্যুম্ন পারিদা বলেন, “আমরা মুরগি হত্যার সিদ্ধান্তে আপত্তি করছি না। কিন্তু কৃষকদের কী হবে ? তাঁদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে ?"
অন্যদিকে, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ আশ্বস্ত করেছে, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলির তরফে জারি করা নির্দেশিকা অনুয়ায়ী কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। 54টি ফার্মে কয়েক হাজার মুরগির ক্ষেত্রে প্রতিটি বড় মুরগির জন্য 70 টাকা এবং প্রতিটি ছোট মুরগির জন্য 20 টাকা ধার্য করা হয়েছে ৷