সিমলা, 28 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সকালেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিজেপি ৷ সেই আশঙ্কাই সত্যি হল ৷ বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর-সহ 15 বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ কুলদীপ সিং পাঠানিয়া ৷ পাশাপাশি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে সুখু সরকারকে তীব্র নিশানা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং।
তিনি বলেন, "আমরা সব পরিস্থিতিতে দলকে সমর্থন করেছি । গতকালও নানা ধরনের গুঞ্জন চললেও আমরা দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গেই ছিলাম। আমি লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম করে এমন কোনও পদক্ষেপ নেব না, তবে এই মুহূর্তে মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করছি । আমি আজ রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেব । আগামিদিনে যা সঠিক আমি তাতে সমর্থন করব এবং যা ভুল তার বিরোধিতা করব ।"
সাংবাদিক বৈঠকে বুধবার কেঁদে ফেলেন বিক্রমাদিত্য সিং ৷ তাঁর কথায়, "যে আমাকে দমন করার চেষ্টা করবে তাকে আমি বরদাস্ত করব না । প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এবং মল্লিকার্জুন খাড়গেকেও এই পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। হাইকমান্ডকে জানিয়েছি। এখন বল হাইকমান্ডের কোর্টে । ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি বলব, যাঁর নামে কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়েছিল তাঁকে সকলে ভুলে গিয়েছে । যেই বীরভদ্র সিংয়ের নামে সরকার গঠিত হয়েছিল তাঁর মূর্তির জন্য সিমলার চূড়ায় কোনও জায়গা পাওয়া যায়নি । আমি পদের লোভী নই । বারবার বলার পরও বীরভদ্র সিংহের মূর্তি স্থাপন করা হয়নি, যার কারণে আমি আহত, এটা দুঃখজনক ।" উল্লেখ্য, প্রয়াত বীরভদ্র সিংয়েরই পুত্র পদত্যাগী বিক্রমাদিত্য ৷
হিমাচল প্রদেশে রাজ্যসভা নির্বাচনের ফলের পর রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে ৷ তারই মধ্যে আজ হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন চলছে। বুধবার অধিবেশনের শুরুতে তুমুল হট্টগোল হয়। এরপর অধ্যক্ষ কুলদীপ সিং পাঠানিয়া 15 জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন । সাসপেন্ড করা বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর, বিপিন পারমার, বিনোদ কুমার, জনকরাজ, বলবীর ভার্মা, সুরেন্দ্র শৌরি, ইন্দর গান্ধি, হংসরাজ, লোকেন্দ্র কুমার, রণধীর শর্মা, রণবীর নিক্কা প্রমুখ ।
আরও পড়ুন:
- রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ভোট বিভাজনের দাবি বিজেপি বিধায়কদের
- দুঁদে কংগ্রেস নেতার হারেই তুঙ্গে জল্পনা, হিমাচলে সরকার বাঁচানোর লড়াই!
- রাজ্যসভার ভোটে হিমাচল প্রদেশে ক্রস ভোটিংয়ের আশঙ্কা কংগ্রেসে, স্বস্তিতে নেই সুখবিন্দর সিং সুখু