নয়াদিল্লি, 18 জানুয়ারি:ভোটের আগে বাড়ছে দিল্লির রাজতৈনিক পারদ ৷ হাতেগোনা আর মাত্র কিছুদিন ৷ আগামী 5 ফেব্রুয়ারির দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবার আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে বেরতেই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসে ইট ও পাথরের টুকরো ৷
আপের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ এদিন ঘটনার পরই আপ ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন ৷ ইতিমধ্যেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তা থেকে দেখা গিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারের সময় বেশ কয়েকজন কেজরিওয়ালকে লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখাচ্ছেন ৷
পাশাপাশি, কেউ কেউ কেজরিওয়াল হায়-হায়' স্লোগানও দেন। এরপর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গাড়ির চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন যার জেরে আহত হন দু'জন। যদিও দিল্লি পুলিশ ইট-পাথর ছোড়ার ঘটনা অস্বীকার করেছে। বিজেপি প্রার্থী এবং প্রাক্তন সাংসদ প্রবেশ ভার্মা এনিয়ে বলেন, "কেজরিওয়ালের গাড়িতে সংঘর্ষ হয়েছে ৷ তারা সাধারণ মানুষকে পিষে ফেলার চেষ্টা করেছিল। দু'জন আহত হয়েছেন ৷ তাঁদের লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে আম আদমি পার্টির নেতারা মানুষের জীবনের মূল্য ভুলে গিয়েছেন ৷ আমি লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেছি ৷"
পালটা বিজেপিকে আক্রমণ করে আম আদমি পার্টির বক্তব্য, বিজেপি পরাজয়ের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাই এমনটা করেছে ৷ তাদের আরও বক্তব্য, বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ ভার্মা তাঁর গুন্ডাদের ব্যবহার করেছেন ৷ তারাই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গাড়ি উপর হামলা চালিয়েছে ইট, পাথর ছুড়ে ৷ কেজরিওয়ালকে আঘাত করাই উদ্দেশ্যে, যাতে তিনি প্রচার করতে না-পারেন।
উল্লেখ্য, নয়া দিল্লি আসনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ৷ তার প্রধান কারণ, অবশ্যই এই কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ৷ এখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের ৷ এই আসন থেকে প্রবেশ বর্মাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি ৷ তাঁর বাবা সাহেব সিং বর্মা দিল্লিরই প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী ছিলেন ৷ অন্যদিকে, সন্দীপ দীক্ষিতও কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৷ মা শিলা দিক্ষীতও এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে দিল্লির মসনদে বসেছিলেন। 2013 সালে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে তাঁকে হারিয়েই বিধানসভায় যান অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷