নয়াদিল্লি, 13 মার্চ: সিএএ লাগু নিয়ে এবার সরব দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ 11 মার্চ, সোমবার দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করেছে বিজেপি সরকার ৷ সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রতিবাদ করেন ৷ তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গে এই আইন কার্যকর করতে দেবেন না ৷ তিনি ছাড়া কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, তামিলনাড়ুর এমকে স্ট্যালিন ৷ আজ এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ বিজেপির নোংরা ভোট ব্যাংকের রাজনীতি বলে তোপ দাগলেন ৷
তিনি এদিন প্রশ্ন করেন, "সিএএ কী?" বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার ফলে বিশাল সংখ্যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভারতে আসবে ৷ তাদের চাকরি দেওয়া হবে ৷ তাদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে ৷
কেজরিওয়াল বলেন, "বিজেপি আমাদের সন্তানদের চাকরি দিতে পারে না ৷ এদিকে তারা পাকিস্তান থেকে আসা নাগরিকদের সন্তানদের চাকরি দেবে ৷ ভারতীয়দের অনেকের ঘরবাড়ি নেই ৷ অথচ বিজেপি চায় পাকিস্তান থেকে আসা লোকজন এখানে স্থায়ীভাবে বাস করুক ৷ আমাদের চাকরিই এবার তাদের সন্তানদের দিয়ে দেবে ৷ আমাদের জায়গায় পাকিস্তানিদের ব্যবস্থা করে দিতে চায় বিজেপি সরকার ৷ ভারত সরকারের যে টাকা আমাদের ভারতীয়দের উন্নতির জন্য কাজে লাগানোর কথা ছিল, সেই টাকা এবার পাকিস্তানিদের জন্য ব্যবহার করা হবে ৷"
এদিকে সিএএ নিয়ে অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সেই পোর্টালে আবেদন জানানো নিয়ে সতর্ক করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ হাবড়ার সভা থেকে মঙ্গলবার তিনি বলেন, "নাগরিকত্বের দাবি জানানোর আগে দশ বার ভাবুন ৷ ক্যা রুল কেন্দ্র যে ঘোষণা করেছে, আদৌ এটা বৈধ কি না, তাতে আমার সন্দেহ আছে ৷ এর কোনও ক্ল্যারিটি নেই ৷ টোটাল ভাঁওতা ৷ ইলেকশনের আগে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা ৷"
আরও পড়ুন:
- আবেদন করলেই নাগরিকত্ব হারাবেন, সিএএ নিয়ে সতর্কবার্তা মমতার
- সিএএ লাগু হওয়ার পর মমতার প্রথম বিরোধী মিছিল, শিলিগুড়ির রাজপথে সামিলের ডাক