বাস্তার, 15 জুন: দীর্ঘ অভিযানের পর অবশেষে সাফল্য় ! ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার আবুজমারের জঙ্গলে নকশাল ও নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াইয়ে খতম 8 নকশাল ৷ গুলির লড়াইয়ে শহিদ এক নিরাপত্তারক্ষী ৷ জখম আরও দুই নিরাপত্তারক্ষী ৷
সূত্রের খবর, অবুঝমাঢ় জঙ্গলের কুতুল, ফরাসাবাদ ও কোডটামেটা এলাকায় গত 12 জুন থেকে যৌথ অভিযান শুরু করে নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, কাঙ্কের এবং কোন্দাগাঁও জেলার ডিসট্রিক্ট রিসার্ভ গার্ড, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত বাহিনীর 53 নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান এবং ছত্তিশগড় পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে বাস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি বলেন, "শনিবার সকালে দু'পক্ষের মধ্য়ে গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ ঘটনাস্থলেই নিকেশ হন 8 জন নকশাল ৷ গুরুতর আহত হন নিরাপত্তাবাহিনীর 3 জন ৷ তাঁদের মধ্যে একজন পরে শহিদ হন ৷" বাকি দু'জনের চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ সূত্রের খবর, এলাকায় এখনও গুলির লড়াই চলছে ৷ তবে এদিনের ঘটনায় মৃত নকশালদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ উল্লেখ্য, গত 7 জুন দান্তেওয়াড়া এবং নারায়ণপুর সীমান্তে তল্লাশির সময় নিরাপত্তাবাহিনী এবং নকশালদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ ঘটনায় নিকেশ 7 নকশাল। তল্লাশির সময় নিহত নকশালদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ এবং অস্ত্র উদ্ধার করে নিরাপত্তাবাহিনী ।
সাম্প্রতিক সময়ে দান্তেওয়াড়া ও নারায়ণপুর এলাকায় নকশাল ও নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে এনকাউন্টারের ঘটনা সামনে এসেছে ৷ লোকসভা নির্বাচন শুরুর কয়েকদিন আগেই বড় সাফল্য পান নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ৷ গত 16 এপ্রিল কাঙ্কের জেলায় এনকাউন্টারে কমপক্ষে 29 জন নকশালপন্থীর মৃত্যু হয় ৷ ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয় ৷ নিহতদের মধ্যে নকশাল নেতা শঙ্কর রাও ছিলেন বলে জানায় পুলিশ ৷ সরকারের তরফে শঙ্করের উপর 25 লক্ষ টাকার পুরস্কার ধার্য করা হয়েছিল ৷