যোধপুর, 19 ফেব্রুয়ারি: আট মাসের শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্ত কাকা ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তারই পরিবারের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে ৷ মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উমেদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। শিশুটির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলেও খবর।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদও করছে পুলিশ। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এডিসিপি সুনীল পানওয়ারকে। পুলিশ আধিকারিক উমেদ হাসপাতালে পৌঁছে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত খবর নেন। তিনি জানান, অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিবেক বিহার থানার পুলিশ এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগ পায়। এর পরেই পুলিশ আধিকারিক দিলীপ খাদবের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী নিয়ে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে ৷ এরপরই 30 বছর বয়সি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বিবেক বিহার থানা এলাকার কলোনির একটি বাড়িতে এসেছিল। কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই সে আসে। এর মাঝেই সুযোগ বুঝে ওই ব্যক্তি শিশুটিকে ধর্ষণ করে। তার কান্না শুনে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। পরিবারের লোকজন অভিযুক্তকে ধরতে চেষ্টা করলেও সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এরপরই পরিবারের লোকজন শিশুটিকে উমেদ হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ সেখান থেকে ঘটনার খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত একাই থাকে ৷ তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত 13 অগস্ট, যোধপুর শহরেই পাল রোডে একটি মন্দিরের বাইরে থেকে আড়াই বছরের মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অক্টোবরে দেবনগর থানা এলাকায় রাস্তার ধারে পরিবারের সঙ্গে ঘুমন্ত এক মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ওই সময়ের মধ্যে জেলায় এমন 10টি মামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে পুলিশ প্রতিটি মামলায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে।