জলপাইগুড়ি, 25 জানুয়ারি: ডুয়ার্সে ঘুরতে এলে কেউ লাভা যাবে না এটা হতেই পারে না । ডুয়ার্সের সঙ্গে লাভা লোলেগাও এর যোগটা যেন একটা আত্মীক ব্যপার । লাভা নামটা শুনলেই শীতকালের ঘন কুয়াশায় ঘেরা কনকনে ঠান্ডা এবং হাতের কাছে মেঘেদের আনাগোনার ছবি ভেসে আসে । কালিম্পং জেলার ছোট্ট জনপদ লাভা । ডুয়ার্স থেকে লাভা ঘুরতে যাওয়াটা খুবই সহজ । ডুয়ার্সের মালবাজার থেকে লাভার দুরত্ব 56 কিলোমিটার ।
মালবাজার শহর থেকে চা বাগান ঘেরা রাস্তা দিয়ে পাহাড়ি এলাকায় প্রবেশ । পাহাড়ের আকাবাকা পথ দিয়েই যেতে হয় লাভা । ছোটো থেকে বড়ো সব রকমের গাড়িই যাতায়াত করে লাভা যাওয়ার পাহাড়ি রাস্তায় । রাস্তা ভালো থাকার কারনে সহজেই নির্দিষ্ট সময়ে পৌছে যাওয়া যায় । পাহাড়ি রাস্তার মাঝেই দেখা যায় ভিউ পয়েন্ট ওমবিওক । সঙ্গে দেখা যায় সেই নামের ফলক । ফলকটি ঘিরে ফটো তোলার হিরিক লক্ষ্য করা যায় পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে । তার পাশেই রয়েছে একটি ছোট্টো বিশ্রামের জায়গা । ওমবিওক থেকে আকাশের দিকে তাকালে দেখা যায় মেঘ আর বেশী দূরে নেই । সেখান থেকে পাহাড়ি রাস্তার পথ ধরে যত উপরে উঠতে হয় । নীচে তাকালেই দেখা যায় বিশালাকার পাথর ও নদী (Looking down you can see huge rocks and rivers)।
কী কী দেখবেন ?
লাভা ভিউ পয়েন্ট, লাভা থেকে রিসপ যাবার খুবই সহজ । লাভা মনেস্ট্রি । পাহাড়ের এক উচু টিলায় দাঁড়িয়ে চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার একটা আলাদা অনুভূতি ।
কীভাবে যাবেন ?
এনজেপি স্টেশনে নেমে সেখান থেকে ছোট গাড়িতে করে মালবাজার । মালবাজার থেকে বা দিকের চা বাগান ঘেরা জায়গা দিয়ে যেতে হবে । তারপর সেখান থেকে ডান দিকে কিছুটা এগিয়ে যেতেই পাহাড়ি রাস্তা শুরু হয় । সেটিই লাভা যাওয়ার সঠিক পথ ।
কোথায় থাকবেন ?
কালিম্পং জেলার লাভা ভিউ পয়েন্টের কিছুটা আগেই রয়েছে একটি ছোটো বাজার । সেখানে রয়েছে সব ধরনের দোকান পাট ও ছোটো বড়ো হোটেল ও হোম স্টে । হোটেল ভাড়া মাথা পিছু 700-1500 টাকার মধ্যে । খাওয়ার সব ধরনের পাওয়া যায় । হোটেলের ভেতর থেকেই পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যায় । খাওয়ার জন্য জনপ্রতি 400-600 টাকা ।
আরও পড়ুন: