হায়দরাবাদ: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইন্টারনেট পরিষেবাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে ৷ 2 জি থেকে 5 জি নেটওয়ার্ক-এর সুবিধা উপভোগ করছে দেশবাসী ৷ শুধুমাত্র মেট্রো শহর নয়, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলগুলিও এখন উন্নত ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে ৷ কখনও কখনও ইন্টারনেটে গতি ধীর হয়ে যাওয়ায় সমস্য়ার সৃষ্টি হয় ৷ 5 জি নেটওয়ার্ক থাকলেও তা খুব একটা কাজের হয়না ৷ এমন পরিস্থিতিতে ভিডিয়ো স্ট্রিমিং, সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজ করতে গিয়ে একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হয় ৷ স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ধীরে চলার অন্যতম কারণ হতে পারে, সফ্টওয়্যার কতটা আপডেট এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে যে সমস্ত অ্যাপস রয়েছে ৷ যার কারণে অনেক সময়ে ধীর হয়ে যায় স্মার্টফোনের অ্য়াপ ৷ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় ৷
1.ফোন রিস্টার্ট: দীর্ঘসময় ধরে ব্যবহারের ফলে স্মার্টোফনের সফটওয়্যারে সমস্যা তৈরি হতে পারে ৷ তার কারণেও স্মার্টফোন ধীরে চলতে পারে ৷ এইক্ষেত্রে সফ্টওয়্যারটি রিফ্রেশ করতে জন্য স্মার্টফোনটিকে রিস্টার্ট করতে পারেন ৷ সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ বন্ধ থাকবে ৷ কার্যকারিতা আরও বাড়বে ৷
2. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ রাখা: অনেক সময়, দেখা যায় ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশ কিছু অ্যাপ চালু থাকে ৷ যার ফলে অকারণে ফোনের ডেটা খরচ হয়। এর ফলেও স্মার্টফোনের ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যেতে পারে ৷ ডেটা বাঁচাতে এবং ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে, স্মার্টফোনে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলি বন্ধ রাখা দরকার।
3. অ্যাড ব্লকারের ব্যবহার: স্মার্টফোনে ছবি এবং লিঙ্কের মতো অনেক ধরনের বিজ্ঞাপন পপ-আপ দেখতে পাওয়া যায় ৷ এরফলে স্মার্টফোনের অকারণ ডেটা ব্যবহৃত হয় ৷ ফলে ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যায়। তাই এই বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে বিজ্ঞাপন ব্লকার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ আপনি গুগল প্লে স্টোরে অনেক ধরনের অ্যাড ব্লকার অ্যাপ পাবেন, যেগুলোর মধ্যে থেকে আপনি একটি ভালো অ্যাপ বেছে নিতে পারেন।
4. সফ্টওয়্যার আপডেট পরীক্ষা করা: পুরানো সফটওয়ার ব্যবহারের কারণেও ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে ৷ সফটওয়্যার আপডেট না-হলেও 5জি ইন্টারনেটের স্পিডও কমে যেতে পারে ৷ তাই সময়মতো সফটওয়ার ও অ্যাপ আপডেটের উপর নজর রাখা উচিত ৷ নতুন আপডেটের নোটিফিকেশন এলেই সেটা আপডেট করা প্রয়োজন ৷
5. অন্য নেটওয়ার্কে সংযোগ করুন: কখনও কখনও সার্ভিস প্রোভাইডারের কারণেও স্মার্টফোনের ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যেতে পারে ৷ এক্ষেত্রে সার্ভিসপ্রোভাইডার পরিবর্তনের করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ৷ ওয়াই-ফাই রাউটার ব্যবহার করলে সেটি পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন, যাতে গতি ধীর হয়ে না যায় ৷
6. আপনার ক্যাশে এবং কুকিজ সাফ করুন: স্মার্টফোনের অ্যাপে ডেটা জমতে থাকে, যা নেটওয়ার্ককেও প্রভাবিত করে এবং ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়। স্মার্টফোনের Clear cache এবং কুকিজ সরিয়ে দেওয়া খুব প্রয়োজন ৷ এইগুলিও অনেক সময় স্মার্টফোনের ইন্টারনেটের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য় করে । Clear cache সেটিংস > অ্যাপস এবং বিজ্ঞপ্তি > সমস্ত অ্যাপ দেখুন। তারপরে, অ্যাপে ট্যাপ করে স্টোরেজ এবং Clear cache এবং ক্লিয়ার স্টোরেজ-এ গিয়ে Clear cache করলেও মোবাইলের ইন্টারনেটেপ স্পিড বেড়ে যায় ৷
7. একটি VPN ব্যবহার করুন: যদিও VPN কানেক্ট করলে ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে দেয় ৷ কিছু ক্ষেত্রে, ট্র্যাফিক এনক্রিপ্ট করে এবং সুরক্ষিত সার্ভারের মাধ্যমে আপনার ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে পারে ৷
8. সর্বাধিক ডেটা লোড করার বিকল্প: অ্যান্ড্রয়েড ফোনে, ওয়্যারলেস এবং নেটওয়ার্ক সেটিংসের অধীনে 'GPRS টু ডেটা প্রেফার' নামে একটি বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করা হয়। এটি সর্বাধিক ডেটা লোডিং বিকল্প হিসাবে পরিচিত। এটি স্মার্টফোনের ডেটা ডাউনলোড করতে সাহায্য করে ৷ ইন্টারনেটের গতি বাড়ায় এবং দ্রুত ব্রাউজিংয়ে সাহায্য় করে ৷