কিয়েভ (ইউক্রেন): রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব চরমে ৷ ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। কয়েকদিন আগেই ইউক্রেন সেনার হাতে আসে আমেরিকার অত্যাধুনিক ও উন্নত যুদ্ধবিমান F-16 ৷ ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের উপর এয়ারস্ট্রাইক করে রাশিয়া ৷ এই হামলাতেই ভেঙে পড়েছে যুদ্ধবিমান F-16 ৷ রাশিয়ার আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ইউক্রেন সেনার এক শীর্ষ পাইলটের।
ইউক্রেনের কাছে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট F16 পরিচালনায় সক্ষম পাইলটের সংখ্যাও অনেকটা কম ৷ ইউক্রেন ফেসবুকে জানায়, বৃহস্পতিবারের হামলায় একজন পাইলট প্রয়াত হয়েছেন ৷ কিন্তু এই বিমানটি কি রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তু ছিল ? নাকি পাইলটের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।
F16 বিমানের বিশেষত্ব কী: 1974 সালে, F16 বিমান প্রথমবার মার্কিন বিমান বাহিনীতে এই বিমানের ব্যবহার হয়। F16 এখনও বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে একটি ৷ প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হলেও, এটির বাহ্যিক চেহারায় খুব বেশি পরিবর্তিন করা হয়নি ৷ কয়েক দশক ধরে বিমানটিকে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নয়ন করা হয়েছে । যুদ্ধক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে উড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি F16-এর ৷
অত্যাধুনিক রাডার স্থাপন করা হয়েছে: 5ম প্রজন্মের অত্যাধুনিক রাডার APG-83 বিমানটিতে স্থাপন করা হয়েছে ৷ যাতে উড়ানের সময় শত্রুপক্ষের বিমানের গতিবিধি নজরে থাকে । এটি শত্রুপক্ষের বিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র উপর নজর রাখতে সক্ষম ৷ পাইলটকে সতর্ক থাকার বার্তা দেয় ৷ একটি ডিজিটাল মানচিত্র প্রস্তুত করে পাইলটকে তথ্য দেয়।
উন্নত সচেতনতা ব্যবস্থা: শব্দের থেকেই দ্বিগুণ গতিতে উড়তে পারে ৷ এই বিমানের সেন্সরগুলি লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করে এবং একটি মানচিত্রের আকারে পাইলটের কাছে প্রদর্শন করে ৷ সেটিকে অনুসরণ করে পাইলট আক্রমণ করে শত্রুপক্ষকে ৷
পাইলটদের জন্য নিরাপত্তা: F16 স্বয়ংক্রিয় গ্রাউন্ড কোলিশন এভয়েডেন্স সিস্টেম (অটো জিসিএএস) ব্যবহার করে, যা বিমান প্রস্তুতকারক লকহিড মার্টিন দ্বারা তৈরি করা হয়েছে ৷ যা পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারালে বিমানকে নিরাপদে অবতরণ করতে সহায়তা করে। লকহিড মার্টিন তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানায় যে প্রযুক্তিটি 2014 সালে বাস্তবায়নের পর থেকে বিমান বিস্ফোরণ 26 শতাংশ কমিয়েছে।
অতুলনীয় অস্ত্র ইন্টিগ্রেশন: লকহিড মার্টিনের মতে, F16 180 ধরনের অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। লকহিড মার্টিন দাবি করেছেন, বিশ্বের আর কোনো যুদ্ধবিমানের এই ক্ষমতা নেই। ইউক্রেন শুধুমাত্র বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত বিমান হারিয়েছে না, এটি উড়ানের জন্য প্রশিক্ষিত পাইলটদেরও হারিয়েছে ৷ ইউক্রেন আরও 100টি F16 চেয়েছে আমেরিকার কাছে ।