কলকাতা, 9 এপ্রিল: ঈদের আলোয় উজ্জ্বল জাকারিয়া স্ট্রিট ৷ সর্বক্ষণ খাদ্যরসিকদের ভিড়ে জমজমাট এই এলাকা ৷ মধ্যমগ্রাম থেকে একদল কলেজ পড়ুয়া, বেহালা ও টালিগঞ্জ থেকে বন্ধুর দল বা উত্তর কলকাতার বাসিন্দা দম্পতি; রমজানের আবহ সকলেই এসেছেন জাকারিয়া স্ট্রিটে । উদ্দেশ্য একটাই, কাবাব থেকে তন্দুর বা মিষ্টি; চুটিয়ে সবকিছুর স্বাদ উপভোগ করা ।
সন্ধ্যা হতেই রঙিন আলোয় সেজে উঠছে নাখোদা মসজিদ ও তার আশপাশের চত্ত্বর । বছরে 365 দিনই এখানকার হোটেলগুলিতে মুঘল খাবার বিক্রি হয় । তবে রমজানের সময় গোটা মাসজুড়ে এই এলাকায় পা ফেলার জায়গা থাকে না । হোটেলের পাশাপাশি আরও বহু ছোট বড় খাবারের দোকান, ফলের ও শরবতের দোকান । জামা কাপড় সবই বিক্রি হয় । বলা চলে মেলা বসে । যার সিংহভাগ থাকে খাবারের স্টল ।
এখানেই আছে দিল্লি 6 থেকে তাসকিনের মতো বিখ্যাত দোকান । চিকেন আফগানি, মুর্গ তন্দুর, রেশমি কাবাব, টিক্কা কাবাব, হরিয়ালি কাবাব থেকে অ্যাডমসের বিখ্যাত সুতা কাবাব, হাজি আলাউদ্দিনের মিষ্টি । প্রতিটা দোকানের সামনেই উপচে পড়ছে খাদ্য রসিকদের ভিড় । রসনাতৃপ্তিতে মজেছেন সকলে ।
ধর্মের ভেদ নয়, রমজান মাসে জাকারিয়া স্ট্রিট হয়ে ওঠে কেবল খাদ্যরসিকদের ঠিকানা ৷ শুধু সেই টানেই বন্ধুদের নিয়ে জাকারিয়া স্ট্রিটে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী রাজন্যা হালদার ৷ তাঁর কথায়, "কাবাব গলি হিসেবে বিখ্যাত জাকারিয়া স্ট্রিট । প্রতি বছর এখানে এই উৎসবের আমেজ নিতে আসি । এবারও কোনও রাজনীতির কাজে নয়, বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে কাবাব চেখে দেখতে এসেছি । আজ কোনও রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়, এখানে এসেছি সম্পূর্ণ খাদ্যরসিক হিসেবে ৷ খেতে ভালোবাসি তাই আসা ৷"
আরও পড়ুন :