জলপাইগুড়ি, 30 অগস্ট: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে 25 বছরের কারাদণ্ড যুবকের। সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম তারিফুল ইসলাম। এই ঘটনায় ময়নাগুড়ি থানার তদন্তকারী অফিসারের কাজে খুশি নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন নাবালিকা তার ভাই ও অন্যদের সঙ্গে করে বিকেলে চা বাগানে গিয়েছিল। সন্ধ্যা নেমে আসায় অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে নাবালিকাকে চা বাগানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ওই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি মেয়েটির ভাই দেখতে পেয়ে যায়। মেয়েটির ভাই দৌঁড়ে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ঘটনাটি জানায়। এরপর চা বাগানে এসে মেয়ের খোঁজ করে পরিবারের লোকেরা ৷ এরপর চা বাগানের নর্দমার ধার থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয় নাবালিকা। এরপর তাকে ময়নাগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। সেই সময় চিকিৎসক সন্দেহ করেন নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তার গোপনাঙ্গে ক্ষতচিহ্নও পাওয়া যায়। এরপরই নাবালিকাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।
ভীত হয়ে পড়ায় মেয়েটি কোনও কথাই বলতে পারেনি। এরপর জলপাইগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সময় তার দিদিমাকে বিষয়টি খুলে বলে। এরপর ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। সরকারি আইনজীবী দেবাশিষ দত্ত বলেন, "ঘটনাটি ঘটেছিল 2020 সালের 12 ডিসেম্বর। সেসময়ই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।"
একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "ঘটনার দিন নাবালিকা চা পাতার ফুল তুলতে গিয়েছিল। সঙ্গে অভিযুক্তও পাতা তুলছিল। সন্ধ্যা নেমে আসায় অভিযুক্ত যুবক হঠাৎ করে চিৎকার করে বলে ওঠে মালিক এসেছেন। সবাই এদিক ওদিক পালিয়ে যায়। এরপর নাবালিকাকে বাগানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে শারিরীক নিগ্রহ করে।"
জলপাইগুড়ি আইনজীবী দেবাশীষ দত্তের কথায়, "ঘটনার পর 8 জনের সাক্ষী নেওয়া হয়। পসকো আদালতের স্পেশাল কোর্ট বিচার চলেছে। সব পক্ষের সাক্ষী সওয়াল জবাবের পর বিচারক ইন্দবর ত্রিপাঠী 25 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও 50 হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন। অনাদায়ে আরও এক বছরের জেলের নির্দেশ দেন। নির্যাতিতা নাবালিকাকে 4 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবার জন্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।"