সাঁইথিয়া, 10 নভেম্বর: সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। তার জেরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির ৷ মৃতের নাম বিপদতারণ বাগদি (36)। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার সিভিক ভলান্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্য গ্যাস বেলুনের ব্যবসা করতেন ৷
এদিন, গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার কাজ করছিলেন প্রতিবেশী বিপদতারণ। সেই সময় অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ হয় ৷ তাতেই তাঁর প্রাণ য়ায়। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত স্থানীয় বাসিন্দারা সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে ভাঙচুর চালান ৷ খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ ৷
সাঁইথিয়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সাবের আলি খানকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা ৷ সাঁইথিয়া থানার অন্তর্গত বিলসা গ্রামে বাড়ি দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্যর। তিনি ওই থানারই সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ পাশাপাশি গ্যাস বেলুনের ব্যবসা করেন ৷ রবিবার দুপুরে দুর্গাপ্রসাদ গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার জন্য প্রতিবেশী বিপদতারণ বাগদিকে ডেকে আনেন ৷ গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণ হয় ৷ আর বিস্ফোরণের গুরুতর জখন হন বিপদতারণ ৷ পরে তাঁকে সাঁইথিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
বিস্ফোরণের বিকট শব্দে চমকে ওঠেন প্রতিবেশীরা ৷ আর এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে ভাঙচুর চালান ৷ ইট, বাঁশ দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় বাড়ির জানালা-দরজা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। পুলিশের সামনেও চলে ভাঙচুর ৷ এমনকী, সাঁইথিয়ার তৃণমূল-কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সাবের আলি খানকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় ক্ষিপ্ত জনতা ৷ এদিকে, ঘটনার পরেই পালিয়ে যান সিভিক ভলান্টিয়ার দুর্গাপ্রসাদ ভট্টাচার্য।
বিস্ফোরণের ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। গ্যাস বেলুনের এই ব্যবসা করার জন্য পর্যাপ্ত অনুমোদন ছিল না, এমন দাবিও করেছেন স্থানীয়দের একাংশ ৷ এছাড়া, একজন সিভিক ভলান্টিয়ার, যিনি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কর্মরত তাঁর বাড়িতে কীভাবে কোনও নিরাপত্তা-সুরক্ষা ছাড়া গ্যাস বেলুনের ব্যবসা চলছিল ? সেই প্রশ্নও উঠেছে। কেন সাঁইথিয়া থানার পুলিশ বিষয়টির দিকে নজর দেয়নি? উঠেছে সেই প্রশ্নও। যদিও, এই ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ বীরভূম জেলা পুলিশের শীর্ষকর্তারা ৷