কলকাতা, 15 জুলাই: বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে সাফল্যের সঙ্গে শেষ হল 'ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার'। শেষদিনেও তিলধারণের জায়গা ছিল না বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণে। মেলার শেষবেলায় সকলের নজর কাড়ল লাটাগুড়ির লোকসঙ্গীত। সেখানকার লোকশিল্পীরা গাইলেন তাঁদের আঞ্চলিক গান।
সুন্দরী ডুয়ার্সের একটি আকর্ষণীয় জায়গা লাটাগুড়ি। ভারত তথা বিদেশেও ছড়িয়েছে লাটাগুড়ির নাম। লাটাগুড়ির জঙ্গলের টানে বহু মানুষের সমাগম হয় এখানে ৷ সম্প্রতি 'ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার'-এ হাজির হয়েছিল 'লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন'। তিনি বর্ণনা করলেন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে লাটাগুড়ির রূপ ৷
অ্যাসোসিয়েশনের জনৈক প্রতিনিধি বলেন, "লাটাগুড়ি একটা জঙ্গলনির্ভর পর্যটন ক্ষেত্র। বর্ষাকালে এই জায়গাটা আরও সবুজ হয়ে যায়। অন্যরূপে ধরা দেয় প্রকৃতি। জন্তুরা লোকালয়ে চলে আসছে। ফলে জন্তু দেখতে পর্যটকদের আর জঙ্গলে যেতে হচ্ছে না। রিসর্টে বসেই তারা যে কোনও জন্তু দেখতে পারছেন। আর তার ফলে মানুষের এই সময়ে এই জায়গায় আনাগোনাও বাড়ছে।"
অর্কিডের শহরে এবার প্যারাগ্লাইডিং, অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য হতে চলেছে কার্শিয়াং !
তিনি আরও বলেন, "লাটাগুড়িতে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে 'এশিয়ান ফোক ফেস্টিভ্যাল'। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানের ফোক কালচার তুলে আনা হবে সেখানে। ওই সময়ে যারা ডুয়ার্সে যাবে তারা ডুয়ার্সের কালচারের পাশাপাশি সন্ধ্যার পরে বিদেশের কালচারও লাটাগুড়িতে বসে উপভোগ করতে পারবে।"
লাটাগুড়িতে গেলে কী কী দেখবেন:
লাটাগুড়ির পথে যেতে যেতে দু’পাশে রয়েছে ঘন জঙ্গল। এ ছাড়া আলাদা করে দেখার মধ্যে আছে - গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক, চাপড়ামারি অভয়ারণ্য, মূর্তি নদী, জয়ন্তী-মহাকাল গুহা, জলঢাকা-ঝালং এবং বিন্দু, বক্সা ফোর্ট, রোভার্স পয়েন্ট। তা ছাড়া এখানকার মনোরম পরিবেশ মানসিক শান্তি দেবে।
কী পাওয়া যায়: বেত এবং বাঁশের তৈরি নানারকমের জিনিস আপনি সংগ্রহ করতে পারেন।
কীভাবে যাবেন: শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব 80 কিলোমিটার। তাছাড়া রেলপথে নিউ মাল জংশনে নেমে এবং সড়কপথে 30 কিলোমিটার দূরে লাটাগুড়ি পৌঁছানো যায়।
আগামী 3 মাস জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্যে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, জানুন কারণ