ETV Bharat / state

উৎসবে শোকের ছায়া, রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুনে মৃত শ্রমিক

দমকলের 5টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ তবে, ভিতরে পকেট ফায়ার রয়েছে বলে জানিয়েছে দমকল বিভাগ ৷ দীপাবলির আগে অন্ধকার নামল কর্মীদের পরিবারে ৷

DATTAPUKUR FIRE INCIDENT
দত্তপুকুরে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন মৃত্যু শ্রমিকের ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

দত্তপুকুর, 30 অক্টোবর: দীপাবলি উৎসবের আগে অন্ধকার নেমে এল দত্তপুকুরে ৷ একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল 1 শ্রমিকের ৷ মৃত শ্রমিকের নাম বিশ্বনাথ বোস ৷ আগুনে ঝলসে গুরুতর জখম হয়েছেন আরও তিনজন ৷ তাঁদের বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কারখানার পাইপলাইন লিক করে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দমকলের ৷

জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে কারখানার মালিকের জামাই কুলদীপ সিংয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ বাকি দুই আহত শ্রমিক হলেন জয়দেব কর্মকার এবং শের আলি ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের চণ্ডীগড়ি এলাকায় তেল পরিশোধনের একটি কারখানা রয়েছে ৷ গত 21 বছর ধরে চলছে কারখানাটি ৷

দত্তপুকুরে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন মৃত্যু শ্রমিকের ৷ (ইটিভি ভারত)

সেখানেই বুধবার বেলা দু'টো নাগাদ রাসায়নিক তেলের পাইপলাইন লিক করে আগুন লেগে যায় বলে অভিযোগ ৷ সেই সময় জনা দশেক শ্রমিক কাজ করছিলেন কারখানায় ৷ তেল পরিশোধনের কারখানা হওয়ায়, মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৷ 5-6 জন শ্রমিক বাইরে বেরিয়ে আসতে পারলেও চারজন ভিতরে আটকে পড়েন ৷ তবে, কোনওরকমে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসেন ৷ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ কিন্তু, সেখানেই বিশ্বনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক ৷

পরে কুলদীপ সিংয়ের অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ তাঁর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে ৷ আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায় ৷ কারখানায় প্রচুর রাসায়নিক মজুত থাকায়, আগুন নেভাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের ৷ আগুন নেভাতে ফোম ব্যবহার করা হয় ৷ প্রায় তিন ঘণ্টার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় ৷ তবে, মাঝে-মধ্যেই কালো ধোঁয়া ও আগুনের ফুলকি দেখা যাচ্ছে কারখানার ভিতর থেকে ৷ ফলে, দমকলের তরফে কারখানাটি পুরোপরি ঘিরে ফেলা হয়েছে ৷

তবে, আগুন লাগার ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ৷ কারখানার ভিতরে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও দমকল বিভাগ ৷

দমকলের উত্তর 24 পরগনার ডিভিশনাল অফিসার স্বরোজ কুমার বাগ বলেন, "কারখানার পাইপ লিক করেই সম্ভবত এই আগুন লেগেছে ৷ প্রথমদিকে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে ঠিকই ৷ পরবর্তীতে দমকলের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন আয়ত্তে আসে ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করছি ৷"

দত্তপুকুর, 30 অক্টোবর: দীপাবলি উৎসবের আগে অন্ধকার নেমে এল দত্তপুকুরে ৷ একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল 1 শ্রমিকের ৷ মৃত শ্রমিকের নাম বিশ্বনাথ বোস ৷ আগুনে ঝলসে গুরুতর জখম হয়েছেন আরও তিনজন ৷ তাঁদের বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কারখানার পাইপলাইন লিক করে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দমকলের ৷

জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে কারখানার মালিকের জামাই কুলদীপ সিংয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ বাকি দুই আহত শ্রমিক হলেন জয়দেব কর্মকার এবং শের আলি ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুরের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের চণ্ডীগড়ি এলাকায় তেল পরিশোধনের একটি কারখানা রয়েছে ৷ গত 21 বছর ধরে চলছে কারখানাটি ৷

দত্তপুকুরে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন মৃত্যু শ্রমিকের ৷ (ইটিভি ভারত)

সেখানেই বুধবার বেলা দু'টো নাগাদ রাসায়নিক তেলের পাইপলাইন লিক করে আগুন লেগে যায় বলে অভিযোগ ৷ সেই সময় জনা দশেক শ্রমিক কাজ করছিলেন কারখানায় ৷ তেল পরিশোধনের কারখানা হওয়ায়, মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ৷ 5-6 জন শ্রমিক বাইরে বেরিয়ে আসতে পারলেও চারজন ভিতরে আটকে পড়েন ৷ তবে, কোনওরকমে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসেন ৷ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ কিন্তু, সেখানেই বিশ্বনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক ৷

পরে কুলদীপ সিংয়ের অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ তাঁর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সঙ্কটজনক বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে ৷ আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায় ৷ কারখানায় প্রচুর রাসায়নিক মজুত থাকায়, আগুন নেভাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের ৷ আগুন নেভাতে ফোম ব্যবহার করা হয় ৷ প্রায় তিন ঘণ্টার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় ৷ তবে, মাঝে-মধ্যেই কালো ধোঁয়া ও আগুনের ফুলকি দেখা যাচ্ছে কারখানার ভিতর থেকে ৷ ফলে, দমকলের তরফে কারখানাটি পুরোপরি ঘিরে ফেলা হয়েছে ৷

তবে, আগুন লাগার ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ৷ কারখানার ভিতরে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও দমকল বিভাগ ৷

দমকলের উত্তর 24 পরগনার ডিভিশনাল অফিসার স্বরোজ কুমার বাগ বলেন, "কারখানার পাইপ লিক করেই সম্ভবত এই আগুন লেগেছে ৷ প্রথমদিকে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে ঠিকই ৷ পরবর্তীতে দমকলের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন আয়ত্তে আসে ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করছি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.