ETV Bharat / state

বোমার আঘাতে খুইয়েছে হাত, আজও ভোট এলেই আতঙ্ক তাড়া করে ছোট্ট মিলিকে

2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোমার আঘাতে বাঁ-হাত খুইয়েছিল নবম শ্রেণি পড়ুয়া মিলি (নাম পরিবর্তিত) ৷ সেই ভয়াবহ স্মৃতি আজও তাড়া করে পুরো পরিবারকে ৷

ASSEMBLY BYE ELECTIONS 2024
2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোমার আঘাতে বাঁ-হাত খোয়া যায় মিলির ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 13, 2024, 4:57 PM IST

হাড়োয়া, 13 নভেম্বর: রাজ্যের 6টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে ৷ যার মধ্যে অন্যতম হাড়োয়া বিধানসভা ৷ লোকজন সকাল থেকে লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছেন ৷ কিন্তু, এই ভোটের সময়ে নিজেদের ঘরবন্দি করে ফেলেন উত্তর 24 পরগনার হাড়োয়া বিধানসভা এলাকার গোপালপুর 1 নম্বর পঞ্চায়েতের মিলির পরিবার ৷

এর পিছনে রয়েছে 6 বছরের এক ভয়াবহ ঘটনা ৷ 2018 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বাড়ির একমাত্র মেয়ে মিলি (নাম পরিবর্তিত), তার বাঁ-হাত খুইয়েছিল ৷ সেই সময় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া মিলি সকালে ফুল তুলতে পাশের একটি বাগানে গিয়েছিল ৷ সেখানে গোলাকার একটি বস্তুকে বল ভেবে তুলে নিয়ে আসে সে ৷

2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোমার আঘাতে বাঁ-হাত খোয়া যায় মিলির ৷ (ইটিভি ভারত)

বাড়িতে আসার পর, সেটি তার দাদুর নজরে আসে ৷ তিনি নাতনিকে ওই বস্তুটি ফেলে দিতে বলেন ৷ ছোট্ট মিলি কিছু না-বুঝেই সেটি মাটিতে ছুড়ে দেয় ৷ আর তাতেই বিস্ফোরণ হয় ৷ মিলির ঠাকুমা জানিয়েছেন, তাঁরা হঠাৎই বিকট শব্দ পান ঘরের ভিতর থেকে ৷ বাইরে বেরিয়ে দেখেন চারদিক ধোঁয়ায় ভরে রয়েছে ৷ সেই ধোঁয়া সরতেই উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ছোট্ট মিলিকে ৷ তার বাঁ-হাতের অর্ধেক ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল বিস্ফোরণে ৷

দ্রুত মিলির রক্তাক্ত হাত কাপড়ে জড়িয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন ৷ সেদিনের ছোট্ট মিলিকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হলেও, চিরতরে কনুই থেকে বাঁ-হাতটি খোয়া যায় তার ৷ বর্তমানে মিলি নবম শ্রেণির ছাত্রী ৷ সেদিনের কথা খুব একটা মনে নেই তার ৷ তবে, তার বাবা, মা ও ঠাকুমা আজও সেই দিনের কথা মনে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷

সেই সময় রাজনৈতিক দলের লোকজন তাঁদের বাড়িতে এসেছিল ৷ আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পরিবারের একজন সদস্য়কে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে ৷ কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবের আলো দেখেনি ৷ মিলির বাবা বিশেষভাবে সক্ষম ৷ তিনি কোনও কাজ করতে পারেন না ৷ চারজনের সংসার চালাতে তাই মিলির মা কলকাতায় আয়ার কাজ করেন ৷ তবে, প্রতিটি ভোট তাঁদের পরিবারকে 6 বছর আগের স্মৃতি মনে করায় ৷ হয়তো আগামীতেও সেই ঘটনার আতঙ্ক তাঁদের তাড়া করে বেড়াবে ৷

হাড়োয়া, 13 নভেম্বর: রাজ্যের 6টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে ৷ যার মধ্যে অন্যতম হাড়োয়া বিধানসভা ৷ লোকজন সকাল থেকে লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছেন ৷ কিন্তু, এই ভোটের সময়ে নিজেদের ঘরবন্দি করে ফেলেন উত্তর 24 পরগনার হাড়োয়া বিধানসভা এলাকার গোপালপুর 1 নম্বর পঞ্চায়েতের মিলির পরিবার ৷

এর পিছনে রয়েছে 6 বছরের এক ভয়াবহ ঘটনা ৷ 2018 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বাড়ির একমাত্র মেয়ে মিলি (নাম পরিবর্তিত), তার বাঁ-হাত খুইয়েছিল ৷ সেই সময় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া মিলি সকালে ফুল তুলতে পাশের একটি বাগানে গিয়েছিল ৷ সেখানে গোলাকার একটি বস্তুকে বল ভেবে তুলে নিয়ে আসে সে ৷

2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোমার আঘাতে বাঁ-হাত খোয়া যায় মিলির ৷ (ইটিভি ভারত)

বাড়িতে আসার পর, সেটি তার দাদুর নজরে আসে ৷ তিনি নাতনিকে ওই বস্তুটি ফেলে দিতে বলেন ৷ ছোট্ট মিলি কিছু না-বুঝেই সেটি মাটিতে ছুড়ে দেয় ৷ আর তাতেই বিস্ফোরণ হয় ৷ মিলির ঠাকুমা জানিয়েছেন, তাঁরা হঠাৎই বিকট শব্দ পান ঘরের ভিতর থেকে ৷ বাইরে বেরিয়ে দেখেন চারদিক ধোঁয়ায় ভরে রয়েছে ৷ সেই ধোঁয়া সরতেই উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ছোট্ট মিলিকে ৷ তার বাঁ-হাতের অর্ধেক ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল বিস্ফোরণে ৷

দ্রুত মিলির রক্তাক্ত হাত কাপড়ে জড়িয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন ৷ সেদিনের ছোট্ট মিলিকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হলেও, চিরতরে কনুই থেকে বাঁ-হাতটি খোয়া যায় তার ৷ বর্তমানে মিলি নবম শ্রেণির ছাত্রী ৷ সেদিনের কথা খুব একটা মনে নেই তার ৷ তবে, তার বাবা, মা ও ঠাকুমা আজও সেই দিনের কথা মনে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷

সেই সময় রাজনৈতিক দলের লোকজন তাঁদের বাড়িতে এসেছিল ৷ আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পরিবারের একজন সদস্য়কে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে ৷ কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবের আলো দেখেনি ৷ মিলির বাবা বিশেষভাবে সক্ষম ৷ তিনি কোনও কাজ করতে পারেন না ৷ চারজনের সংসার চালাতে তাই মিলির মা কলকাতায় আয়ার কাজ করেন ৷ তবে, প্রতিটি ভোট তাঁদের পরিবারকে 6 বছর আগের স্মৃতি মনে করায় ৷ হয়তো আগামীতেও সেই ঘটনার আতঙ্ক তাঁদের তাড়া করে বেড়াবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.