ETV Bharat / state

সাধারণ মানুষের তুলনায় আয়ু কম চিকিৎসকদের, কেন ? - National Doctors Day 2024

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 1, 2024, 3:21 PM IST

Updated : Jul 1, 2024, 4:53 PM IST

National Doctors' Day 2024: আজ জাতীয় চিকিৎসক দিবস ৷ আর এই বিশেষ দিনে চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেছে ইটিভি ভারত ৷ জানেন কী, সাধারণ মানুষের তুলনায় আয়ু কম হয় চিকিৎসকদের ৷ কিন্তু কেন ? তারই কারণ জানতে প্রতিবেদনটি পড়ুন ৷

ETV Bharat
নজরে চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 1 জুলাই: ডাক্তাররা হলেন ঈশ্বর রূপ ৷ এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন অনেকেই ৷ তবে যাঁরা আমাদের ভালো রাখেন, তাঁরা নিজেকে সুস্থ রাখেন কী করে ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মানুষের তুলনায় চিকিৎসকদের আয়ু কম । সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে 39 বছরের এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয় । এছাড়াও এক বছর আগে আত্মহত্যা করেছিলেন আরও এক কমবয়সি চিকিৎসক । শুধু এই দু'জনই নন, এধরনের ঘটনার উদাহরণ আরও রয়েছে । কারণটা ঠিক কী ?

জাতীয় চিকিৎসক দিবসে চিকিৎসকদের শরীর-স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিয়েছে ইটিভি ভারত ৷ এই বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাপ্পাদিত্য চৌধুরী বলেন, "চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে । পরিস্থিতি ও পরিবেশগত অতিরিক্ত চাপ, প্রতিকূল পরিস্থিতি ডাক্তারদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিদ্ধস্ত করে ফেলছে । ভেতরের মানুষটা যেন পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে । যাকে আমরা বলি 'বার্ন আউট'। ডাক্তাররা সবই বোঝেন, কী করতে হবে তাঁরা জানেন, কিন্তু করে উঠতে পারেন না । সেই কারণেই আর পাঁচটা মানুষের থেকে ডাক্তারদের আয়ু কম ।"

অপরদিকে, চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, "চিকিৎসকদের অসুস্থতার হার সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি । আমাদের এখানে চিকিৎসকরা সবথেকে বেশি ভোগেন ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, পেটের সমস্যা এবং মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় । চিকিৎসকরা রোগীর প্রেসক্রিপশনে অনেক কিছু লেখেন । তবে নিজের প্রেসক্রিপশন থেকে সেটা বাদ দিয়ে দেন । একজন চিকিৎসককে সপ্তাহে 70 থেকে 75 ঘণ্টা ডিউটি করতে হয় । যদি বলেন রোগী দেখব না, তখনই কিন্তু দেখা যায় অশান্তির ছবি । সেই থেকে ধীরে ধীরে শুরু হয় অবসাদ । এই সমস্ত কারণের জন্যই দেখা গিয়েছে যে, একজন সাধারণ ভারতীয় যদি 74 বছর বাঁচেন, তাহলে চিকিৎসক বাঁচেন 67 বছর ।"

এর পাশাপাশি চিকিৎসকদের কথায়, এমবিবিএস ডিগ্রিটি এখন খুব সাধারণ হয়ে গিয়েছে । তাই সকলেই চাইছেন, কিছু বিষয়ে স্পেশালাইজড হতে । সেই নিয়েই নতুন প্রজন্মের চিকিৎসকদের কাছে শুরু হচ্ছে মানসিক চাপ । বাপ্পাদিত্য চৌধুরীর কথায়, "আর পাঁচটা প্রফেশনে প্রতিষ্ঠিত হতে যে সময় লাগে, চিকিৎসকের তার থেকে বেশি সময় যায় । এছাড়াও বর্তমানে স্পেশালাইজড হওয়ার উপর জোর থাকায় সাধারণ চিকিৎসা করতেই বহু তরুণ ডাক্তাররা ভয় পাচ্ছেন । সেটা করলে হবে না, মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে ।"

অপরদিকে চিকিৎসকদের নিজেকে ভালো রাখার মতো কাজকে বেছে নিতে হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর মতে, এই দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে সময় দেওয়া এবং নিজের শরীরের উপরও নজর দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ।

কলকাতা, 1 জুলাই: ডাক্তাররা হলেন ঈশ্বর রূপ ৷ এ কথা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন অনেকেই ৷ তবে যাঁরা আমাদের ভালো রাখেন, তাঁরা নিজেকে সুস্থ রাখেন কী করে ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মানুষের তুলনায় চিকিৎসকদের আয়ু কম । সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে 39 বছরের এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয় । এছাড়াও এক বছর আগে আত্মহত্যা করেছিলেন আরও এক কমবয়সি চিকিৎসক । শুধু এই দু'জনই নন, এধরনের ঘটনার উদাহরণ আরও রয়েছে । কারণটা ঠিক কী ?

জাতীয় চিকিৎসক দিবসে চিকিৎসকদের শরীর-স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিয়েছে ইটিভি ভারত ৷ এই বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাপ্পাদিত্য চৌধুরী বলেন, "চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে । পরিস্থিতি ও পরিবেশগত অতিরিক্ত চাপ, প্রতিকূল পরিস্থিতি ডাক্তারদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিদ্ধস্ত করে ফেলছে । ভেতরের মানুষটা যেন পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে । যাকে আমরা বলি 'বার্ন আউট'। ডাক্তাররা সবই বোঝেন, কী করতে হবে তাঁরা জানেন, কিন্তু করে উঠতে পারেন না । সেই কারণেই আর পাঁচটা মানুষের থেকে ডাক্তারদের আয়ু কম ।"

অপরদিকে, চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, "চিকিৎসকদের অসুস্থতার হার সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি । আমাদের এখানে চিকিৎসকরা সবথেকে বেশি ভোগেন ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, পেটের সমস্যা এবং মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় । চিকিৎসকরা রোগীর প্রেসক্রিপশনে অনেক কিছু লেখেন । তবে নিজের প্রেসক্রিপশন থেকে সেটা বাদ দিয়ে দেন । একজন চিকিৎসককে সপ্তাহে 70 থেকে 75 ঘণ্টা ডিউটি করতে হয় । যদি বলেন রোগী দেখব না, তখনই কিন্তু দেখা যায় অশান্তির ছবি । সেই থেকে ধীরে ধীরে শুরু হয় অবসাদ । এই সমস্ত কারণের জন্যই দেখা গিয়েছে যে, একজন সাধারণ ভারতীয় যদি 74 বছর বাঁচেন, তাহলে চিকিৎসক বাঁচেন 67 বছর ।"

এর পাশাপাশি চিকিৎসকদের কথায়, এমবিবিএস ডিগ্রিটি এখন খুব সাধারণ হয়ে গিয়েছে । তাই সকলেই চাইছেন, কিছু বিষয়ে স্পেশালাইজড হতে । সেই নিয়েই নতুন প্রজন্মের চিকিৎসকদের কাছে শুরু হচ্ছে মানসিক চাপ । বাপ্পাদিত্য চৌধুরীর কথায়, "আর পাঁচটা প্রফেশনে প্রতিষ্ঠিত হতে যে সময় লাগে, চিকিৎসকের তার থেকে বেশি সময় যায় । এছাড়াও বর্তমানে স্পেশালাইজড হওয়ার উপর জোর থাকায় সাধারণ চিকিৎসা করতেই বহু তরুণ ডাক্তাররা ভয় পাচ্ছেন । সেটা করলে হবে না, মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে ।"

অপরদিকে চিকিৎসকদের নিজেকে ভালো রাখার মতো কাজকে বেছে নিতে হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর মতে, এই দৌড় প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে সময় দেওয়া এবং নিজের শরীরের উপরও নজর দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ।

Last Updated : Jul 1, 2024, 4:53 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.