লাভপুর, 18 সেপ্টেম্বর: বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে বিপত্তি ৷ বোট উলটে জলে পড়ে গেলেন জেলাশাসক ও দুই সাংসদ-সহ 13 জন ৷ গ্রামবাসীদের তৎপরতায় কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন সকলে ৷ কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত প্রায় 15টি গ্রাম ৷ বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলিতে বোর্টে করে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই চেপেছিলেন সকলে ৷ জলের ঘূর্ণিপাকে পড়ে উলটে যায় বোট ৷ তাতেই জলে পড়ে যান বোটে থাকা প্রশাসনিক আধিকারিকরা ৷
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকে টানা তিনদিনের ভারী বৃষ্টিতে এখনও জলমগ্ন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা ৷ বৃষ্টি বন্ধ হলেও সিকাটিয়া, মাইথন, পাঞ্চেত, তিলপাড়া জলাধার থেকে জল ছাড়ায় পুজোর মুখে প্লাবিত বহু জায়গা ৷ বীরভূম জেলার পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর ৷ লাভপুরে বলরামপুরের কাছে কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে প্রায় 15টি গ্রাম জলের তলায় ৷ তার মধ্যে 6 থেকে 7টি গ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ৷ বহু কাঁচা-পাকা বাড়ি, বিস্তীর্ণ ধান জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে ৷
বুধবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাভপুরে যান বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ-সহ 13 জন ৷ একটি বোটে চড়ে জলমগ্ন এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান তাঁরা ৷ কিছুটা যেতেই জলের তলায় থাকা গাছে ডালের আঘাতে বোট বন্ধ হয়ে যায় মাঝ জলে ৷ তারপরেই উলটে যায় সেটি ৷ জলে পড়ে যান সকলে ৷ দূর থেকে দেখতে পেয়ে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা । তাদের তৎপরতায় কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন জেলাশাসক, সাংসদ-বিধায়ক । আপাদমস্তক ভিজে গিয়েছেন সকলে ৷ তবে বন্যা পরিদর্শনে গেলেও কারও লাইফ জ্যাকেট ছিল না ৷ এই বিষয়ে লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ বলেন, "মাঝ জলে গাছের ডাল লেগে যায় । সেখানে জলটা পাক খাচ্ছিল ৷ সেই পাকে পড়ে বোটটা উলটে যায় ৷ সবাই জলে পড়ে যায় ৷ গ্রামবাসীরা ছুটে এসে বাঁচায় ৷ প্রাণে বেঁচে গিয়েছি ৷ সবাই সুস্থ আছে, ভালো আছে ।"