ETV Bharat / state

রাজ্যপাল-কাণ্ডে কী কী আইনি জটিলতার সামনে রাজ্য? রইল বিস্তারিত বিশ্লেষণ - CV Ananda Bose - CV ANANDA BOSE

Legal Complications in CV Ananda Bose Case: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন রাজভবনের অস্থায়ী মহিলা কর্মী ৷ সেই ঘটনায় নড়ে গিয়েছে, রাজ্য প্রশাসন থেকে আমলামহল ৷ এক্ষেত্রে একাধিক আইনি জটিলতা রয়েছে ৷ তা নিয়ে পড়ুন ইটিভি ভারতের বিশেষ প্রতিবেদন ৷

ETV BHARAT
রাজ্যপাল-কাণ্ডের তদন্ত আইনী জটিলতা নিয়ে বিশেষজ্ঞের মত ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 3, 2024, 6:03 PM IST

Updated : May 3, 2024, 6:10 PM IST

অনির্বাণ গুহঠাকুরতা (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 3 মে: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগও দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ পদাধিকার বলে রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ৷ তাঁর নিয়োগ হয় কেন্দ্রের তরফে। স্বভাবতই তাঁর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠা এবং তার তদন্ত-আর পাঁচটা তদন্তের থেকে অনেকটাই আলাদা ৷

ভারতীয় সংবিধান এক্ষেত্রে কী বলছে, এই পরিস্থিতিতে তদন্তকারীদের কী করণীয় ? যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, অর্থাৎ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের তরফে কীভাবে আইনি মোকাবিলা করা হতে পারে ? এই সমস্ত দরকারি প্রশ্ন নিয়ে ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথা বললেন আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা ৷

আইনজীবীর বক্তব্য, "ভারতীয় সংবিধানের 361 নম্বর ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কোনও রকম ফৌজদারি মামলার অভিযোগে তদন্ত করতে পারে না পুলিশ ৷ কোন আদালতও এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিতে পারে না ৷ আমার অন্তত মনে হয় না, এই বিষয়ে মাননীয় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও রকমের অভিযোগের তদন্ত করা যেতে পারে ৷"

তবে, তদন্ত যে একেবারই সম্ভব হবে না, তেমনটাও নয় ৷ এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে ৷ আর সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বা প্রশাসনের কোনও ক্ষমতাই নেই ৷ আইনজীবীর মতে, "প্রথমে লোকসভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করতে হবে ৷ সেখান থেকে অনুমোদন পেলে, সেই প্রস্তাব রাজ্যসভায় পেশ করতে হবে ৷ যদি, রাজ্যসভা ও লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সহমত হন একমাত্র তাহলেই এই বিষয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ৷"

তবে, এখানেও রয়েছে কিছু বিধিনিষেধ ৷ যে কোনও সংস্থা এই মামলার তদন্ত করতে পারবে না ৷ লোকসভা ও রাজ্যসভার অনুমোদনের পর একটি কমিটি তৈরি করতে হবে ৷ সেই কমিটির মাধ্যমে প্রথমে রাজ্যপালকে ইমপিচ করাতে হবে ৷ অর্থাৎ, রাজ্যপালকে তাঁর পদ থেকে সরাতে হবে ৷ একমাত্র তারপরই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব ৷ আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, " বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে আমার মনে হয় না, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও তদন্তের সম্ভাবনা রয়েছে ৷"

এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় গতকাল রাতেই জানিয়েছেন, তাঁরা আইন এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলছেন ৷ এই গোটা বিষয়ে তদন্ত-প্রক্রিয়া কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তা এখনই স্পষ্ট করে এখনই বলা যাচ্ছে না ৷ পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাতেই রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, নির্বাচন চলাকালীন পুলিশ রাজভবনে প্রবেশ করতে পারবে না ৷

আরও পড়ুন:

  1. 'পর পর দু'বার শ্লীলতাহানি করেছেন', কড়া ভাষায় রাজ্যপালের নিন্দা মমতার
  2. 'আরও বড় চক্রান্ত হচ্ছে, এই লড়াই লড়ব', অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করে কলকাতা ছাড়লেন রাজ্যপাল
  3. রাজ্যপালকে মহিলার শ্লীলতাহানির জন্য রক্ষাকবচ দেয়নি সংবিধান: শশী পাঁজা

অনির্বাণ গুহঠাকুরতা (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 3 মে: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগও দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ পদাধিকার বলে রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ৷ তাঁর নিয়োগ হয় কেন্দ্রের তরফে। স্বভাবতই তাঁর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠা এবং তার তদন্ত-আর পাঁচটা তদন্তের থেকে অনেকটাই আলাদা ৷

ভারতীয় সংবিধান এক্ষেত্রে কী বলছে, এই পরিস্থিতিতে তদন্তকারীদের কী করণীয় ? যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, অর্থাৎ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের তরফে কীভাবে আইনি মোকাবিলা করা হতে পারে ? এই সমস্ত দরকারি প্রশ্ন নিয়ে ইটিভি ভারতের সঙ্গে কথা বললেন আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা ৷

আইনজীবীর বক্তব্য, "ভারতীয় সংবিধানের 361 নম্বর ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কোনও রকম ফৌজদারি মামলার অভিযোগে তদন্ত করতে পারে না পুলিশ ৷ কোন আদালতও এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিতে পারে না ৷ আমার অন্তত মনে হয় না, এই বিষয়ে মাননীয় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও রকমের অভিযোগের তদন্ত করা যেতে পারে ৷"

তবে, তদন্ত যে একেবারই সম্ভব হবে না, তেমনটাও নয় ৷ এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে ৷ আর সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বা প্রশাসনের কোনও ক্ষমতাই নেই ৷ আইনজীবীর মতে, "প্রথমে লোকসভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করতে হবে ৷ সেখান থেকে অনুমোদন পেলে, সেই প্রস্তাব রাজ্যসভায় পেশ করতে হবে ৷ যদি, রাজ্যসভা ও লোকসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সহমত হন একমাত্র তাহলেই এই বিষয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ৷"

তবে, এখানেও রয়েছে কিছু বিধিনিষেধ ৷ যে কোনও সংস্থা এই মামলার তদন্ত করতে পারবে না ৷ লোকসভা ও রাজ্যসভার অনুমোদনের পর একটি কমিটি তৈরি করতে হবে ৷ সেই কমিটির মাধ্যমে প্রথমে রাজ্যপালকে ইমপিচ করাতে হবে ৷ অর্থাৎ, রাজ্যপালকে তাঁর পদ থেকে সরাতে হবে ৷ একমাত্র তারপরই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব ৷ আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, " বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে আমার মনে হয় না, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও তদন্তের সম্ভাবনা রয়েছে ৷"

এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় গতকাল রাতেই জানিয়েছেন, তাঁরা আইন এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলছেন ৷ এই গোটা বিষয়ে তদন্ত-প্রক্রিয়া কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তা এখনই স্পষ্ট করে এখনই বলা যাচ্ছে না ৷ পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাতেই রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, নির্বাচন চলাকালীন পুলিশ রাজভবনে প্রবেশ করতে পারবে না ৷

আরও পড়ুন:

  1. 'পর পর দু'বার শ্লীলতাহানি করেছেন', কড়া ভাষায় রাজ্যপালের নিন্দা মমতার
  2. 'আরও বড় চক্রান্ত হচ্ছে, এই লড়াই লড়ব', অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করে কলকাতা ছাড়লেন রাজ্যপাল
  3. রাজ্যপালকে মহিলার শ্লীলতাহানির জন্য রক্ষাকবচ দেয়নি সংবিধান: শশী পাঁজা
Last Updated : May 3, 2024, 6:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.