ETV Bharat / state

'চোপড়াকাণ্ডে ও পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?' নবান্নের কাছে রিপোর্ট তলব রাজভবনের - Bengal Guv Seeks Report

Bengal Guv Seeks Report from Nabanna: সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। চোপড়ার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন কি না তা জানত চেয়েছেন তিনি । পাশাপাশি রাজ্যের দুই শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাও জানাতে হবে সাংবিধানিক প্রধানকে ।

Bengal Guv Seeks Report from Nabanna
রাজ্যপাল (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 8, 2024, 9:53 PM IST

কলকাতা, 8 জুলাই: রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে সংঘাত যেন কিছুতেই থামতে চাইছে না। নানা সময়ে নানা ইস্যুতে কে কার থেকে এগিয়ে থাকবে, কার্যত সেই প্রতিযোগিতা চলছে। সোমবারও সেই একই ঘটনা ঘটল। রাজ্যপাল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যের কাছে দু'টি প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। জানতে চাইলেন দু'টি বিষয়ে। এক, রাজ্যের দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, সে বিষয়ে কী করা হয়েছে। দুই, চোপড়া কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত করা উচিত কি না।

রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই'য়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যায়, রাজ্যপালের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কলকাতার দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এরপরই এদিন সন্ধ্যায় রাজভবনের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।

লেখা হয়েছে, "ভারতের সংবিধানের 167 অনুচ্ছেদের অধীনে মাননীয় রাজ্যপালের উপর অর্পিত কর্তৃত্বের ভিত্তিতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে দু'টি রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

1. মাননীয় রাজ্যপাল কর্তৃক ভারত সরকার এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনার এবং কলকাতার ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ?

2. জনসমক্ষে একজন মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর এবং সালিশি সভায় দম্পতিকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতে পুলিশের কোনও কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। সেক্ষত্রে ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত কিনা।" এখন দেখার এই রিপোর্ট তলব বা টুইটের পাল্টা জবাব নবান্ন দেয় কি না।

এদিকে আবার চোপড়া কাণ্ডে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নামে নির্যাতিতা এফআইআর করেছেন। পাল্টা মমতা-পুলিশকে আক্রমণ করেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। উল্লেখ্য, সপ্তাহ 2 আগে যুবক ও যুবতী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের মীমাংসা করতে গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয় চোপড়ায় ৷ সেখানে তাঁদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরে দেখা গেছে, গত 1 জুলাই সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নামে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা।

কলকাতা, 8 জুলাই: রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে সংঘাত যেন কিছুতেই থামতে চাইছে না। নানা সময়ে নানা ইস্যুতে কে কার থেকে এগিয়ে থাকবে, কার্যত সেই প্রতিযোগিতা চলছে। সোমবারও সেই একই ঘটনা ঘটল। রাজ্যপাল তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যের কাছে দু'টি প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন। জানতে চাইলেন দু'টি বিষয়ে। এক, রাজ্যের দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, সে বিষয়ে কী করা হয়েছে। দুই, চোপড়া কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত করা উচিত কি না।

রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই'য়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা যায়, রাজ্যপালের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কলকাতার দুই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এরপরই এদিন সন্ধ্যায় রাজভবনের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।

লেখা হয়েছে, "ভারতের সংবিধানের 167 অনুচ্ছেদের অধীনে মাননীয় রাজ্যপালের উপর অর্পিত কর্তৃত্বের ভিত্তিতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে দু'টি রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

1. মাননীয় রাজ্যপাল কর্তৃক ভারত সরকার এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনার এবং কলকাতার ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ?

2. জনসমক্ষে একজন মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর এবং সালিশি সভায় দম্পতিকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতে পুলিশের কোনও কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। সেক্ষত্রে ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত কিনা।" এখন দেখার এই রিপোর্ট তলব বা টুইটের পাল্টা জবাব নবান্ন দেয় কি না।

এদিকে আবার চোপড়া কাণ্ডে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নামে নির্যাতিতা এফআইআর করেছেন। পাল্টা মমতা-পুলিশকে আক্রমণ করেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। উল্লেখ্য, সপ্তাহ 2 আগে যুবক ও যুবতী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের মীমাংসা করতে গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয় চোপড়ায় ৷ সেখানে তাঁদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল বিধায়কের ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরে দেখা গেছে, গত 1 জুলাই সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নামে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.