কলকাতা, 1 অগস্ট: রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ ৷ এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে কেন্দ্রের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তারপরই রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকার। সেই সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, বহু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শৌচালয় নেই ৷
পঞ্চায়েত দফতরের তরফে সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে 40 শতাংশ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা ৷ শৌচালয় নেই একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে । এই সবথেকে খারাপ অবস্থা মুর্শিদাবাদ জেলার ৷ রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে অঙ্গন বাড়ির সংখ্যা রয়েছে 1 লক্ষ 7 হাজার 211টি ৷ এই সবের মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ হল শৌচাগার নেই এমন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা 22 হাজার 195টি ৷ আবার এমন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে, যেখানে শৌচালয় থাকলেও তা ব্যবহারযোগ্য নয় ৷ পঞ্চায়েত দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এইরকম অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা 22 হাজার 591টি। যে সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নিকাশির সমস্যা রয়েছে তার সংখ্যা 15 হাজার 733টি।
এই সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে যেসমস্ত জেলাগুলিতে এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সবচেয়ে বেশি আছে মুর্শিদাবাদ,পুরুলিয়া, নদিয়া বীরভূম ও বাঁকুড়ার মত জেলাগুলিতে । তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা মুর্শিদাবাদের । এই জেলায় 2 হাজার 39টি ৷ তারমধ্যে 2019টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোনও শৌচালয় নেই ৷ এরপরই আছে বীরভূম ৷ এই জেলার দু’হাজার 9টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোনও শৌচালয় নেই।
এই সমীক্ষা হাতে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্ন। নবান্নের আধিকারিকদের তরফ থেকে 19 সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত অঙ্গনওয়াড়িগুলিতে শৌচালয় তৈরি করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের তরফে । স্বচ্ছ ভারত অভিযান এবং পঞ্চদশ অর্থ কমিশন পঞ্চায়েতগুলিকে যে টাকা দিয়েছে, তার থেকেই এই কেন্দ্রগুলিতে শৌচালয় তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । প্রয়োজনের নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতর যে অর্থ বিভিন্ন সময় জেলাগুলিকে দেয়, সেই অর্থও ব্যবহার করা যেতে পারে।