কলকাতা, 14 অগস্ট: আরজি কর-সহ রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আবেদন করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক ৷ আজ তিনি আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ সুহৃতা পালের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ বৈঠক সেরে বেরিয়ে তিনি চিকিৎসক পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, কর্মবিরতিতে যাওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের সব দাবিই মেনে নেওয়া হচ্ছে ৷ ফলে তাঁরা যেন, দ্রুত কাজে ফেরেন এবং সাধারণ মানুষকে ন্যায্য চিকিৎসা পরিষেবা দিতে শুরু করেন ৷
এ দিনের বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ছাড়াও, উচ্চপদস্থ এক ব্যক্তি আরজি করের অধ্যক্ষের অফিসে আসেন ৷ তবে, ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি ৷ সূত্রের খবর, তিনি মানবাধিকার কমিশন অথবা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে আসেন ৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা এ দিন আরজি করে ঢোকার পর, চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে ডেকে পাঠানো হয় ৷ সেই সঙ্গে নার্সিং সুপার কৃষ্ণা সাহাকেও তলব করা হয় অ্যাটেন্ডেন্স রেজিস্ট্রার-সহ ৷
তবে, কিছুক্ষণের মধ্যেই কৌস্তভ নায়েক অধ্যক্ষের অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন ৷ সেখানে তিনি বলেন, "জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা আছে ৷ চাইলে তাঁরা বৈঠক করতে পারেন ৷ তবে, জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন করব ৷ তাঁদের সব দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে ৷ তাই ধীরে ধীরে যাতে কাজে যোগ দেওয়া যায়, তাহলেই ভালো হয় ৷"
এ দিন চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী বৈঠকে ঢোকার সময় সংবাদ মাধ্য়মকে বলেন, "বৃহস্পতিবার সেমিনার রুমে বিকেল 4টে পর্যন্ত পালমোনারি বিভাগের ক্লাস হচ্ছিল ৷ তারপরে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ ক্লাস শেষ করার পর সেই চাবি থাকে সিস্টারের (তিনি কে বা তাঁর পদ কী, তা জানাননি বিভাগীয় প্রধান) কাছে ৷ ফলে ওই দিন চাবিকে নিয়েছিলেন, তা জানা নেই ৷ এমনকি এই ঘটনা আমি জানতে পারি শুক্রবার সকাল 9টা 35 মিনিটে ৷ তারপর দেহ দেখে আমি নিজে আঁতকে উঠেছিলাম ৷ সেমিনার রুমে কেউ রাতে থাকতেন কি না, সেই বিষয়ে কিছুই জানি না আমি ৷"
অন্যদিকে, ঘটনার রাতে নার্সিং বিভাগের কে বা কারা সেখানে দায়িত্বে ছিলেন ? তা অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ৷ সেই মতো নার্সিং সুপার কৃষ্ণা সাহা অ্যাটেন্ডেন্স রেজিস্ট্রার নিয়ে উপস্থিত হন অধ্যক্ষের অফিসে ৷ সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, "আমাকে বলা হয়েছিল বৃহস্পতিবার কারা ডিউটিতে ছিলেন, তা জানাতে ৷ সেই খাতা অধ্যক্ষকে দেখাতেই নিয়ে এসেছি ৷ ওইদিনের ঘটনা প্রথম জানতে পারেন গ্রুপ-ডি’র একজন স্টাফ ৷ উনি চেস্ট মেডিসিন বিভাগে প্রথম জানিয়েছিলেন ৷ আমি জানতে পারি সকাল 10টা নাগাদ ৷ মূলত, ওই ঘরে কোনও নার্স যান না ৷ কোনও অনুষ্ঠান থাকলে, অধ্যক্ষের অনুমতি নিতে হয় ৷"